দাঁতের যত্নে মেসওয়াকের গুরুত্ব
মুফতি আরিফুর রহমান
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা ইসলামের অন্যতম সভ্যতা। জামা-কাপড়, শরীর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মুখের অভ্যন্তরকে পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে ইসলাম খুবই গুরুত্বারোপ করেছে। মুখে ময়লা জমে, দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা আটকিয়ে মুখে দুর্গন্ধ ছড়ায়। জীবাণুর জন্ম দেয়। বলা হয়, মুখে জমা ময়লা থেকে পেটের পীড়া সৃষ্টি হয়। আর এ ক্ষতিকর অবস্থা থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম উপায় হলো মেসওয়াক করা। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, মেসওয়াক মুখের পরিচ্ছন্নতা এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। (সুনানে নাসায়ি : ৫)।
মেসওয়াকের পরিচয় : মেসওয়াক ও সিওয়াক শব্দ দুটি আরবি। সিওয়াক শব্দ দ্বারা মেসওয়াক করা (তথা মুখ ও দাঁত পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে গাছের কাঁচাডাল দিয়ে দাঁত মাজা) বোঝায়। আর মেসওয়াক শব্দটি গাছের ডাল বা শেকড় বোঝায়। (লিসানুল আরব : ৩/৩৭, রদ্দুল মুহতার : ১/১১৩)।
মেসওয়াকের গুরুত্ব ও ফজিলত : রাসুল (সা.) যেসব আমলের প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, সেসব আমলের মধ্যে মেসওয়াক করা অন্যতম। মেসওয়াকের আমল রাসুল (সা.)-এর সর্বশেষ আমল। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) (অসুস্থ অবস্থায়) আমার বুকে হেলান দিয়ে শুয়ে ছিলেন। এমন সময় (আমার ভাই) আব্দুর রহমান বিন আবু বকর সেখানে প্রবেশ করল। আর হাতে ছিল কাঁচা খেজুর ডালের মেসওয়াক। সে তা দ্বারা মেসওয়াক করছিল। রাসুল (সা.) তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি মেসওয়াকটি নিলাম। তিনি তা দিয়ে মেসওয়াক করলেন। এরপূর্বে আমি কখনো রাসুল (সা.) কে এত সুন্দর করে মেসওয়াক করতে দেখিনি। মেসওয়াক শেষ করে তিনি হাত বা আঙুল আকাশের দিকে উঠিয়ে ইশারা করে বললেন, আমি মর্যাদাপূর্ণ পরম বন্ধুর মাঝে অন্তর্ভুক্ত হতে চাই। এ কথাটি রাসুল (সা.) তিনবার বললেন। তারপর তিনি ইন্তেকাল করেন।
রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালের সময় তার মাথা আমার থুতনী ও কণ্ঠনালীর মাঝে ছিল। (বোখারি : ৪৪৩৮)। এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, রাসুল (সা.) মেসওয়াকের আমলের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন। মেসওয়াক করার গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিসে রাসুল (সা.)-এর আমল ও বিভিন্ন উক্তি বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) কিতাবুল আসারে ইমাম আবু হানিফা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) এর কয়েকজন সাহাবি তার কাছে এলেন। রাসুল (সা.) তাদের উদ্দেশে বললেন, কী ব্যাপার? তোমরা দাঁত হলুদবর্ণ অবস্থায় আমার কাছে এসেছ? তোমরা মেসওয়াক কর। আমি যদি আমার উম্মতের ওপর কঠিন মনে না করতাম, তাহলে অবশ্যই তাদের প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ করতাম। কোনো বর্ণনায় এসেছে- প্রত্যেক অজুর সময়। (কিতাবুল আসার : ১৩৮)।
মেসওয়াক ব্যবহার করে নামাজ পড়লে, মেসওয়াক ব্যবহার না করে নামাজ পড়ার তুলনায় ৭০ গুণ সাওয়াব বেশি পওয়া যায়। আম্মাজান আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, মেসওয়াক ব্যবহার করে নামাজ আদায়ের ফজিলত মেসওয়াক ছাড়া নামাজ আদায়ের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি। (মুসনাদে আহমাদ : ২৬৩৪০)।
রাসুল (সা.) অথ্যধিক মেসওয়াক করতেন। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, জিবরাঈল (আ.) আমার নিকট অহি নিয়ে এসেই আমাকে মেসওয়াক করার আদেশ দিতেন। আর আমি (এত পরিমাণ) মেসওয়াক করতাম যে, আমার আশঙ্কা হত যে, আমার দাঁতগুলো গোড়া থেকে উপড়ে ফেলব। (ইবনে মাজাহ : ২৮৯)।
মেসওয়াক নবীদের সুন্নাহ : মেসওয়াক নবীরাসুলদের সুন্নাহ। নবীদের কাজ সে তো এক উচ্চ পর্যায়ের সভ্যতা। আদর্শ। নবী রাসুলদের অনুসরণেই উম্মতের প্রকৃত সফলতা ও বিবিধ উপকারিতা রয়েছে। মেসওয়াক নবীদের সুন্নাহ এ কথা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, চারটি বিষয় নবীদের সুন্নাহ। ১. লজ্জা ২. সুগন্ধী ব্যবহার ৩. মেসওয়াক ব্যবহার, ৪. বিয়ে করা। (সুনানে তিরমিজি : ১০৮০)।
কখন মেওয়াক করবে? অজু করার সময় : অজুর করার সময় মেসওয়াক ব্যবহার করা সুন্নতে মুওয়াক্কাদাহ এবং তা অজুর সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন : আমি যদি আমার উম্মতের ওপর কষ্ট মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক অজুর সঙ্গে মেসওয়াক ব্যবহার করার আদেশ করতাম। (সুনানে কুবরা লিন নাসায়ি : ৩০২১)। অজুতে মেসওয়াক ব্যবহার করা হবে কুলি করার সময় বা অজুর শুরুতে। (উমদাতুল কারি : ৫/৩১)।
গোসল ও তায়াম্মুমের সময় : গোসল ও তায়াম্মুম করার শুরুতে মেসওয়াক ব্যবহার কার মুস্তাহাব। (নাইলুল আওতার : ১/১৪০)।
যেসব ক্ষেত্রে মিসওয়ক করা মুস্তাহাব
কোরআন তিলাওয়াতের সময়। (ইবনে মাজাহ : ২৯১)।
হাদীস-ইলমে দ্বীন শিক্ষার সময়। (আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ : ৪ /১৪০)।
নামাজের বাইরে সেজদায়ে তিলাওয়াতের সময়। (প্রাগুক্ত : ৪/১৪০)।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য। (শামি ১/১১৪)।
দাঁতের হলদে বর্ণ দূর করতে। (কিতাবুল আসার:১৩৮)
মুমূর্ষু ব্যক্তির মৃত্যুর সময়। (বোখারি : ৪৪৩৮)।
তাহাজ্জুদের সময়। (মুসলিম: ২৫৫)।
দিনে বা রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে অজুর পূর্বে। (আবু দাউদ: ৫৭) ।
সফর অবস্থায় মেসওয়াক করা। (আততাবাকাত লি ইবনি সা’দ :১ / ৪৮০)।
জনসমাগমের স্থানে যাওয়ার পূর্বে। (শামি ১/১১৪)।
মসজিদে প্রবেশের পূর্বে। (তাবারানী কাবীর : ৫২৬৭)।
ঘরে প্রবেশের পূর্বে। ( মুসলিম:২৫৩)।
ঘুমানোর সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নং-১৭৮৮)
সহবাসের সময়। (আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ : ৪/১৪০)।
মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে এমন খাবার খাওয়ার পর। (শামী ১/১১৪)।
খাবার খাওয়ার আগে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ১৮০৪)।
খাবার খাওয়ার পর। (কিতাবুয যুহদ লি ইবনিল মুবারক :১২৩০)
১৮. জুমার দিন। (বোখারি: ৮৮৭)।
১৯. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর। (আল মুজামুল কাবির লিততবারনি : ১৩৫৯৮)।
কোন গাছের ডাল
এক. ‘আরাক’ তথা পিলু গাছের ডাল : সর্বোত্তম মেসওয়াক হলো ‘আরাক’ তথা পিলু গাছের ডাল। যাকে ‘সালভাডোরা’ বা ‘পার্সি মেসওয়াক’ বা ‘মরু উদ্ভিদ’ বলা হয়। আবু খয়রা সুব্বাহি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমরা আব্দুল কাইসের প্রতিনিধিদলে ছিলাম। অতঃপর রাসুল (সা.) আমাদের আরাক (পিলু বা সালভাডোরা) গাছের মেসওয়াক ব্যবহার করার আদেশ দিয়ে আমাদের বললেন, তোমরা এটা দিয়ে তথা আরাক (পিলু) গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক কর। (আলমুজুমুল কাবির লিত তাবারানি : ৯২৩)।
আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.) এর জন্য আরাক গাছ থেকে একটি মেসওয়াক কেটে এনে দিয়েছিলাম। (আহমাদ, ৩৯৯১)।
দুই. খেজুর গাছের ডাল : কারণ রাসুল (সা.) এর জীবনের শেষ মুহূর্তে খেজুর গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আব্দুর রহমান বিন আবু বকর (হুজুরের মৃত্যুরোগে আক্রান্ত থাকাকালীন) সেখানে এলেন, তাঁর হাতে ছিল খেজুর গাছের তাজা ডাল। অতঃপর রাসুল (সা.) তা দিয়ে মেসওয়াক করলেন। বোখারি : ৪৪৫১)।
তিন. যাইতুনের ডাল : যাইতুনের ডাল হলো, পরবর্তী উত্তম মেসওয়াক। সকল মাযহাবের ফকীহগণ এই মেসওয়াক পছন্দ করেছেন।
মুআজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, বরকতময় গাছ থেকে যাইতুন অনেক উত্তম মেসওয়াক, যা মুখ পরিষ্কার করে এবং দাঁতের মাড়ির রোগ বা দাঁতের হলুদ বর্ণ দূর করে।
চার. প্রত্যেক এমন গাছের ডাল, যা নরম, মোলায়েম, মসৃণ, তিক্ত, ক্ষতিকর নয় এবং যার ঘ্রাণ সুন্দর। (শামি : ১/১১৪; আল মওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ ৪/১৪১; আশ শরহুল সগির১/১২৪)।
মেসওয়াকের বৈশিষ্ট্য : মেসওয়াকের দৈর্ঘ্য মধ্যম ধরনের হওয়া উচিত। মোটা হতে হবে কনিষ্ঠাঙ্গুলীর মতো। যা গিঁটমুক্ত হতে হবে। মেসওয়াক এত অধিক ভিজা বা নরম হওয়া উচিত নয় যে, ভাঁজ হয়ে বাঁকা হয়ে যাবে। কেননা, তখন তা দিয়ে দাঁতের ময়লা পরিষ্কার করা যায় না। এবং এমন শুকনা হওয়াও উচিত নয় যে, মাড়ি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে। মোটকথা, মেসওয়াক অধিক নরম বা অধিক শক্ত না হওয়া। (শামি ১/১১৪, আলমুগনি ১/৯৬, আল ইনসাফ ১/১১৯)।
মেসওয়াক করার পদ্ধতি : মেসওয়াক ধরার পদ্ধতি : মেসওয়াক ডান হাতে ব্যবহার করা মুস্তাহাব। আর ধরার পদ্ধতি এই যে, ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুল মেসওয়াকের নিচে, আর বাকী আঙ্গুলগুলো মেসওয়াকের উপর রাখবে। (শামী ১/১১৪)
মেসওয়াক মুখের ডান দিকে দিয়ে শুরু করা। দাঁতের আড়াআড়িভাবে মেসওয়াক করা। দাঁতের আগা থেকে মাড়ির দিকে মেসওয়াক না করা। দাঁতের উপরের মাড়ি, চিটের মাড়ি, দাঁতের উপরের অংশ ও ভেতরের অংশে মেসওয়াক করা। অতঃপর দাঁতের মাড়ি ও জিহ্বার উপর আলতোভাবে মেসওয়াক করা। (তুহফাতুন নুসসাক :৫৭)।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) দাঁতের আড়াআড়িভাবে মেসওয়াক করেছেন। লম্বালম্বিভাবে নয়। (কিতাবুস সিওয়াক লি আবী নুজাইম)। আতা বিন আবি বারাহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা যখন মেসওয়াক কর, তখন দাঁতের আড়াআড়িতে করবে। (মারাসিলে আবি দাউদ : ০৫)।
টুথব্রাশ-মাজন ব্যবহার : টুথব্রাশ বা মাজন ব্যবহার করলে মেসওয়াকের সুন্নাত আদায় হবে কি? আংশিক সুন্নাত আদায় হবে। কেননা, মেসওয়াক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় রয়েছে। ক. দাঁত পরিষ্কার করা। খ.মেসওয়াক তথা গাছের ডাল ব্যবহার করা। টুথব্রাশ, টুথপেস্ট- মাজন ব্যবহারের দ্বারা দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। (বাইহাকী, সুনানে কুবরা : ১৭৯) কিন্তু মেসওয়াক তথা গাছের ডাল ব্যবহার করার সুন্নত আদায় হবে না। (বুগইয়াতুন নসসাক ফি আহকামিস সিওয়াক পৃ. ৪৪-৪৫, দরসে তিরমিজি ১/২২৬)।
মেসওয়াকের উপকারিতা : মেসওয়াকের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো-
১. মেসওয়াকের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়। ২. মুখের পরিচ্ছন্নতা লাভ হয়। ৩. মেসওয়াক ব্যবহার করে আদায়কৃত নামাজে মেসওয়াক ব্যবহার ছাড়া নামাজের তুলনায় ৭০ গুন বেশি সাওয়াব লাভ হয়। ৪. ফেরেশতারা আনন্দিত হয়। ৫. নেক কাজের তৌফিক লাভ হয়। ৬. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ৭. দাঁতের হলুদ দাগ দূর হয়। ৮. দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়। ৯. কফ দূর করে। ১০. মুখ সুন্দর-সুবাসিত করে। ১১. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। ১২. পাকস্থলী শক্তিশালী করে। ১৩. জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। ১৪. ফেরেশতারা প্রশংসা করে। ১৫. শয়তান রাগান্বিত হয়।
হাদিসে বর্ণিত উপকার : আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, মেসওয়াক মুখের পরিচ্ছন্নতা এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির মাধ্যম। (সুনানে নাসায়ি : ০৫)। মেসওয়াক ব্যবহার করে নামাজ আদায়ের ফজীলত মিসওয়াক ছাড়া নামাজ আদায়ের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি। )মুসনাদে আহমদ : ২৬৩৪০)। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা মেসওয়াক ব্যবহার আবশ্যকরূপে গ্রহণ কর। কেননা, তা মুখের পরিচ্ছন্নতা ও রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। ফেরেশতারা আনন্দিত হওয়ার কারণ, নেক কাজের তৌফিক বৃদ্ধি করে, মেসওয়াক ব্যবহার সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। দাঁতের হলদেভাব দূর করে। মাড়ি মজবুত করে। কফ পরিষ্কার করে। মুখ সুন্দর করে। (শুআবুল ঈমান : ২৫২১)। অন্য হাদিসে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের ওপর মেসওয়াক ব্যবহার করা আবশ্যক। মেসওয়াক অনেক উত্তম বন্ধু। দাঁতের হলদেভাব দূর করে। কফ নিরাময় করে, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, মাড়ি মজবুত করে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে, জান্নাতের মর্যাদা বৃদ্ধি করে, ফেরেশতারা মেসওয়াককারীর প্রশংসা করে। আল্লাহ তার ওপর খুশি হন। শয়তান রাগ হয়। (তারিখু দারিয়া লিল কাজি আবদুল জাব্বার খাওলানি পৃষ্ঠা : ৪৭)।