ঢাবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সভ্যতা ও সংস্কৃতি ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গত ২৭ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মুমিত আল রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভুশী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান স্বাগত বক্তব্য দেন। সহযোগী অধ্যাপক মো. আহসানুল হাদী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে হৃদয় রায় ও জেরিন আফরোজ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে মিতু আক্তার ও মো. খায়রুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নবীন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো। সমৃদ্ধ এই ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। ফারসি ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় সহায়তার জন্য তিনি ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এবং ইরান দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের জনগণের গভীর মেলবন্ধন রয়েছে। দু’দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের এমএ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।