ঢাকা ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শুকুর মল্লিক হাসিলবাগ মসজিদ

শুকুর মল্লিক হাসিলবাগ মসজিদ

নুনগোলা মসজিদের সামান্য পশ্চিমে আরও একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ দেখা যায়। ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটলে ৫ থেকে ৭ মিনিটের পথ। হাসিলবাগ গ্রামের পোড়া মাটির তৈরি মসজিদটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে ছোট এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার বারোবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার। এ মসজিদ থেকে ভৌরব নদ প্রায় ৩০০ মিটার দক্ষিণে।

নব্বইয়ের দশকে প্রত্নসম্পদের সন্ধানে বারোবাজারে ব্যাপকভাবে প্রতœতাত্ত্বিক খননকার্য সম্পাদিত হয়। সে সময়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা শুকুর মল্লিকের ঢিবি নামক ঢিবি থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়। প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তর পরবর্তী সময়ে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করে। শুকুর মল্লিক মসজিদের স্থানটি আগে শুকুর মল্লিকের ঢিবি হিসেবে পরিচিত ছিল, তাই জমির মালিকের নাম অনুসারে পর্যায়ক্রমে শুকুর মল্লিকের ঢিবি, পরবর্তী সময়ে শুকুর মল্লিক মসজিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

শুকুর মল্লিক মসজিদের আকৃতি বর্গাকার। চারপাশের কৃষি জমি থেকে প্রায় ৩ ফুট উচ্চতার প্রায় ১২ থেকে ১০ মিটার পরিমাপের মৌচাকৃতির ঢিবির ওপর মসজিদটি উপবিষ্ট। মসজিদের পূর্বদিকে একটি মাত্র প্রবেশপথ রয়েছে। প্রায় ১.২ মিটার পুরু দেওয়াল ও অর্ধাবৃত্তাকার আকৃতির একটি মেহরাব রয়েছে এবং এর উভয় পাশে একটি করে বন্ধ মেহরাব রয়েছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবটিতে পোড়ামাটির ফলকে বিভিন্ন ধরনের নকশা যেমন ঘণ্টা, শিকল ইত্যাদি পরিলক্ষিত হয়। মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের এক অপূর্ব উদাহরণ।

মসজিদের অভ্যন্তরে মুসল্লিদের নামাজের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাইরে (পূর্ব পাশে) টিনের শেড দিয়ে আরও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদটির কাছাকাছি কোনো পুকুর-জলাশয় না থাকায় নামাজিদের সুবিধার জন্য কুয়েত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাকা টয়লেট ও অজুখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এ মসজিদটি বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত