চিনামাটির টিলায় বদলে গেছে ধোবাউড়া
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কামরুল ইসলাম আমির, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা সবুজ বেষ্টনী আর টিলা ও বন জঙ্গলে ভরপুর এই গ্রামটি। ভেদীকুড়া মৌজায় রয়েছে বাংলাদেশের মূল্যবান খনিজসম্পদ চিনামাটির টিলা। যাকে বলা হয় সাদা মাটি (হোয়াইট ক্লে) বা সাদা সোনা। আন্তর্জাতিকভাবেও এই চিনামাটি একটি মূল্যবান সম্পদ। বাংলাদেশ এগ্রোসিরামিক কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এই মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন সিরামিক কোম্পানিতে সরবরাহ করছে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। এগ্রো সিরামিকের মালিক গোলাম কিবরিয়া তপন বলেন, প্রতিবছর দুইবার খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ডিও প্রদান করা হয়। আমরা সকল কাগজপত্র মেইনটেইন করে সরকারি বিধি মোতাবেক আবেদন করি। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত সাপেক্ষে ডিও প্রদান করা হয়। এতে সরকারকে আমরা রয়্যালিটি দিয়ে থাকি। কৃষিনির্ভর এই এলাকায় সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের তেমন কোনো সুযোগ নেই। তবে চিনামাটি এই মানুষগুলোর ভাগ্য বদল করেছে। চিনামাটির খোঁয়ারীতে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। এতে ভাগ্য বদলেছে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের। গাছুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক শ্রমিক নেতা বলেন, এই চিনামাটির মাইনেতে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। খাগগড়া গ্রামের শ্রমিক মামুন মিয়া বলেন, খনিতে কাজ করে আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে আছি। এছাড়াও এখানকার স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা চিনামাটির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফলে ধোবাউড়া পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাও রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সরকার বলেন, এই চিনামাটির খোঁয়ারীতে গরিব মানুষ কাজ করে, ভেদীকুড়ার পাশে আরও কিছু চিনামাটির টিলা রয়েছে যেগুলো বন্ধ রয়েছে। সেই টিলাগুলো চালু হলে আরও শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। এলাকাবাসী বন্ধ থাকা চিনামাটির টিলা থেকে মাটি উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।