গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মামা-ভাগ্নের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর গ্রামের আব্দুল জলিল সরকারের স্ত্রী আম্বিয়া বেগমকে বৈষ্ণবদাস গ্রামের বাবা আয়েন উদ্দিন দলিলমূলে ৩৩ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে আম্বিয়ার ভাই জহির উদ্দিনসহ অন্যান্য ভাইয়েরা সেই জমি ভোগদখল করে আসছে। এরই একপর্যায়ে আম্বিয়ার ভাইয়েরা গোপনে ১৪ শতক জমি বৈষ্ণবদাস গ্রামের নছিম উদ্দিনের ছেলে মোনাব্বর মিয়ার কাছে বিক্রির নামে টাকা গ্রহণ করে। সেই মোতাবেক বৈষ্ণবদাস মৌজার ১৪৭৭ দাগের ১৪ শতক জমিতে মোনাব্বর মিয়া বসতবাড়ি গড়ে তোলে। তবে এই জমির প্রকৃত মালিক আম্বিয়া বেগম হলেও সেটি জানতেন না মোনাব্বর। এদিকে বাবার কাছে প্রাপ্ত ওই ৩৩ শতক জমির মালিক আম্বিয়া বেগম তার একমাত্র ছেলে আমিনুল ইসলামকে দলিলমূলে লিখে দেন। একারনে আমিনুল ইসলাম জমির মালিকানা স্বত্বপ্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম জানতে পারেন ১৪৭৭ দাগের ১৪ শতক জমি বিক্রির নামে মোনাব্বরের কাছে টাকা গ্রহণ করেছে জহির উদ্দিন গংরা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ-বৈঠক হলেও জমির দখল প্রাপ্ত হয়নি আমিনুল ইসলাম। বর্তমানে জমিসংক্রান্ত এ বিরোধকে কেন্দ্র করে মা-ভাগ্নের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোনাব্বর মিয়া বলেন, আমি ওই সম্পত্তি জহির উদ্দিন গংদের কাছে ক্রয় করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখানো আমাকে দলিল করে দেয়নি তারা। জহির উদ্দিন বলেন, আমার বোন আম্বিয়া বেগম ওই জমি বিক্রি বাবদ মোনাব্বরের কাছে টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন আর দলিল করে দিচ্ছে না। এদিকে আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই জমি বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার মা কিছুই জানেন না। এরই মধ্যে মা স্বেচ্ছায় আমাকে ওই ৩৩ শতক জমি দলিলমূলে হস্তান্তর করেছেন। কিন্ত তারা আমাকে দখল না দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আশাদুল ইসলাম জানান, ওই জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে একাধিক সালিশ-বৈঠক করা হলেও সেটি সমাধা করা সম্ভব হয়নি।