ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন মডেল ভিলেজ

ঈশ্বরগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন মডেল ভিলেজ

বিষ ও রাসায়নিক সার মুক্ত শাক-সবজি উৎপাদন, গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দৃশ্যমান হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মডেল ভিলেজ। ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’ জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনাকে সামনে রেখে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ঈশ্বরগঞ্জে দুটি মডেল ভিলেজ দৃশ্যমান হয়েছে। উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বড়হিত গ্রামে এবং মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রামে এই দুটি মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বড়হিত ইউনিয়নের মডেল গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আখছার খানের তত্ত্বাবধানে। অপরদিকে মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রামের মডেল গ্রামটি দৃশ্যমান হয়েছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুবায়ের আহমেদের তত্ত্বাবধানে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আখছার খান বলেন, বিষ ও রাসায়নিক সার মুক্ত সবজি এবং ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদনের এই গ্রাম দেখে এই এলাকার অনেকেই এই প্রকল্প চাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকেই নিজ উদ্যোগে মডেল গ্রাম গড়ে তুলছেন। মডেল গ্রামের আলমগীর মাসুদ বলেন, আমি ও আমার গৃহিনী বাড়ির কাজ শেষ করে এই মডেল গ্রামের কাজে সময় দেই। এতে আমাদের পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত শাক-সবজি বিক্রি করি। কৃষক নূরুল আমিন বলেন, আমাদের উপসহকারী ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা জুবায়ের আহমেদ স্যার নিয়মিত এই প্রকল্প দেখতে আসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি বাড়ি নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জে এই প্রথম মডেল গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত