টাঙ্গাইলের পাটপাতার অর্গানিক চা রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রঞ্জন কৃষ্ণ পণ্ডিত, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে বেসরকারি উদ্যোগে পুরোপুরি অর্গানিক পদ্ধতিতে তেতো পাট পাতার চা উৎপাদন হচ্ছে। আধুনিক টি-ব্যাগ পদ্ধতিতে বাজারজাত করা হচ্ছে। বর্তমানে পাট পাতার অর্গানিক চা ডেনমার্ক, ইউরোপ, আমেরিকা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোক্তা পর্যায়ে এ চা উৎপাদন করছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন গ্রামের জাকির হোসেন তপু। তার উৎপাদিত পাট পাতার চা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনেও স্থান পেয়েছিল। বাণিজ্যিকভাবে এ চা বাজারজাত করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান তিনি। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেণ্টার (জেডিপিসি) জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে অতিথিদের জন্য উপহার হিসেবে তারা বাংলাদেশ থেকে জাকির হোসেনের পাটপাতার অর্গানিক চা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে এ চা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এরপর থেকে এ চায়ের চাহিদা ক্রমেই দেশ-বিদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরেজমিন পাট পাতার চায়ের স্থানীয় ক্রেতারা জানান, এ চায়ের অনেক গুণ রয়েছে। মানবদেহের অনেক রোগমুক্তির ওষুধ হিসেবে কাজ করে এই পাটপাতার চা। তাই তারা উদ্যোক্তা জাকিরের কাছ থেকে কিনে নিয়মিত পান করছেন। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে পাটপাতার চায়ের বাজারও তৈরি হচ্ছে। লোকমুখে ও অনলাইনে জানতে পেরে প্রতিদিন প্রচুর উৎসুক দর্শনার্থী জাকিরের প্রজেক্টে ভিড় করছে। কারখানা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানায়, দেশে হরহামেশা চাষ হওয়া পাট এক সময় দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে- এখনও রাখছে। সেই তেতো পাটপাতা দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চা তৈরি হচ্ছে জেনে তাদের মধ্যে পদ্ধতি দেখার আগ্রহ জন্ম নিয়েছে। তাছাড়া বেশ কিছুদিন আগে অনলাইন শপিং সেণ্টার দারাজ থেকে এই পাট পাতার চা তারা অর্ডার করেছিলেন। চা খেয়ে অনেক ভালো লেগেছে, প্রথম কয়েকদিন নিয়মিত পান করলেই শরীর অনেকটা চাঙা হয়ে যায়- এটা প্রমাণিত। এজন্য তারা জাকির হোসেন তপুর প্রজেক্ট ঘুরে দেখার জন্য এসেছেন। প্রজেক্টের কর্মচারীরা জানান, এ পাটপাতার চা কারখানায় কাজ করে তারা নিজেদের পড়ালেখাসহ পরিবারকে সাহায্য করতে পারছেন। এই কারখানায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে তাদের বেকারত্ব ঘুচেছে- লেখাপড়া চালাতে পরিবারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। তরুণ উদ্যোক্তা জাকির হোসেন তপু জানান, দেশীয় পাটের পাতা থেকে শতভাগ অর্গানিক পদ্ধতিতে পাটপাতার পানীয় বা চা প্রস্তুত করছেন।