গতকাল শনিবার দুপুর পযন্ত নতুন বছরের প্রত্যাশিত নতুন বই পৌঁছায়নি পাবনার ঈশ্বরদীতে। এতে বই উৎসবে ভাটা পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। প্রাথমিকের শিশু, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ও মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণির বই না আসায় বই উৎসবে শ্রেণি চারটির শিক্ষার্থীরাও নতুন বই না পাওয়ার আশঙ্কা। নতুন বছরে চার শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, নিম্নমানের ছাপা এবং যথাসময়ে বই না পাওয়ায় শিক্ষর্থীদের মধ্যে প্রভাব পড়বে।
এছাড়া বইয়ের কাগজ ও বাধাইয়ের মানও ভালো হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বলছে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বই, তৃতীয় শ্রেণির বই এবং চতুর্থ শ্রেণির বই না আসলেও প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণির প্রায় শতভাগ বই এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও পরিবেশ পরিচিতি এই তিনটি বই পেয়েছেন। আজ বছরের প্রথম দিন বই উৎসবে কোনো শিক্ষার্থী খালি হাতে বাড়ি যাবে না বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী উপজেলায় ৩ হাজার ৪৫০ জন প্রাক প্রাথমিক, ৮ হাজার জন প্রথম শ্রেণি, ৮ হাজার জন দ্বিতীয় শ্রেণি, ৭ হাজার ৬০০ জন তৃতীয় শ্রেনি, ৭ হাজার ৬০০ জন চতুর্থ শ্রেণিও ৭ হাজার জন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে। প্রাক প্রথমিক শ্রেণির নতুন খাতা এলেও বই আসেনি। উপজেলায় প্রাথমিকের ৫৫ শতাংশ বই এসে পোঁছেছে। গতকাল শনিবার সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলার প্রাথমিকের বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কে বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে মাধ্যমিকের বইগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগেই পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন বই উৎসব শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে বিদ্যালয় থেকে বই নেয়।
কিন্তু এই প্রথম বই উৎসবে শিক্ষার্থীরা সব বই পাবে না। আর যেসব বই পাবে সেসব বইয়ের কাগজ ও ছাপার গুণগত মান তেমন ভালো না। শিশুরা বই বেশি ব্যবহার করে থাকে। কিছুদিন গেলেই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঙ্ক্ষিত বই না পাওয়ায় বন্টনে কিছুটা সমস্যা হবে।