কাউখালীতে খাঁচায় মাছ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এক আইনজীবী। উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া খালে কচা এগ্রো লি. খাঁচায় মাছ চাষ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন এক আইনজীবী। জানা গেছে, উপজেলায় পাঙ্গাসিয়া খালে ২০০৭ সালে জেলা মৎস্য অফিস থেকে লিজ নিয়ে প্রথমে খাচায় মাছ চাষ শুরু করেন স্থানীয় আইনজীবী এইউ আহম্মেদ মিঠু। তিনি খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প সরাসরি পরিচালনা কারার জন্য অভিজ্ঞতা এবং উৎসাহ পেয়েছেন চাঁদপুরের একটি খালে মাছ চাষ দেখে। প্রথমদিকে সে ৩০টি খাচায় মাছ চাষ করলেও এখন ৪০টি খাঁচায় মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ করেন। বর্তমানে বছরে ৪০টি খাঁচায় প্রায় ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় করেছেন মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ করে। উন্নত জাতের মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ বছরে ২বার বিক্রি কারার কথা থাকলেও সময় মতো উন্নত জাতের পোনা সংগ্রহ করতে না পারায় বছরে ১ বারের বেশি মাছ বিক্রি করতে পারেন না। যার ফলে চাহিদা অনুযায়ী মাছ উৎপাদন হচ্ছে না বলে জানান, খাঁচায় তত্ত্বাবধায়ক শাহিন তালুকদার। তিনি জানান, মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা সংগ্রহ করতে হয়। এবছর বরগুনা থেকে অক্টেবর মাসে সংগ্রহ করে পোনা খাঁচায় ফেলানো হয় এবং আগামী মার্চ মাসে বিক্রয় করা হবে। এক একটি খাঁচায় ৭০০ থেকে ৭৫০টি মাছ ছাড়া হয় এতে প্রতিটি খাচায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মাছ উৎপাদন করে বিক্রয় করতে পারেন। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্বির ফলে আয়ের চেয়ে খরচ ও এখন প্রায় সমান। মৎস অধিদপ্তর থেকে সঠিক সময়ে উন্নত জাতের পোনা সংগ্রহ করতে পারলে মাছে চায়ে অধিক লাভ করা সম্ভব হতো।