কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতা, হয়রানি, যে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং মধ্যস্বত্বভোগীর অপতৎপরতা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সরাসরি ভূমি মালিকদের সঙ্গে প্রশাসনের সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্ধারিত গণশুনানির পাশাপাশি শুধু ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের জন্য প্রতি মাসে একটি দিন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গণশুনানির ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রকল্প এলাকায় শুনানি গ্রহণ ও চেক বিতরণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। তিনি যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিরোধে ভূমি মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য কোনো মধ্যস্বত্বভোগী দালালের শরণাপন্ন না হয়ে নিজের কাজ নিজে করতে হবে এবং প্রয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বা জেলা প্রশাসকের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। তার দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়মে জড়ালে বা কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে গড়িমসি করলে জেলা প্রশাসক সরাসরি তার নিকট অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়ে বলেন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল শনিবার মহেশখালী উপজেলার ঝাপুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জমির মালিক ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ভূমি মালিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ। মহেশখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শুভাশিস চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএফএম শামীম, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ।