বরই চাষে রুহুলের সাফল্যের হাসি
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শামছুজ্জামান বাবুল, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের নান্দাইলের এ বছর বল সুন্দরী কুল বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন এবং বাজার দর পেয়ে সাফল্যের হাসি ফুটেছে নান্দাইলের কৃষক মো. রুহুল আমিনের মুখে। তার ৮ মাসের চারা গাছগুলোতে ঝুলছে প্রচুর পরিমাণে বরই। বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়ছে গাছ। সবগুলো গাছে বাঁশ দিয়ে আড়া (মাচা) তৈরি করে দিয়েছেন। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৭ ফুট লম্বা হয়েছে। গাছের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে শুধু বল সুন্দরী কুল। বরইয়ের ওপরের অংশে দেখতে হালকা সিঁদুর রঙ এবং আকারে বেশ বড়। দেখতে যেন ঠিক আপেলের মতো।
সরজমিন নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের তেলিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. রুহুল আমিনের বিভিন্ন ফলের মিশ্রিত বাগানে গিয়ে দেখা যায় বল সুন্দরী কুলের গাছগুলোতে ঝুলছে প্রচুর পরিমাণে বরই। পাতার সঙ্গে তালমিলিয়ে বরই যেন বিছানা পেতে রয়েছে। বল সুন্দরী কুল দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রঙ আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। রুহুল আমিন জানান, গত জৈষ্ঠ্য মাসে তিনি পুকুরের পাড়ে ১০ শতক জমিতে ৫০টি বল সুন্দরী কুলের চারা রোপণ করেছেন। চারা রোপণের ৮ মাসের মধ্যেই গাছগুলোতে ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজারে এই বরইয়ের ব্যাপক চাহিদা। দামেও বেশ ভালো। প্রতি কেজি বরইয়ের পাইকারি দর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। চলতি মৌসুমেই প্রতিটি চারা থেকে ২৫ থেকে ৩০ কেজি বরই তুলে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। আশার তুলনায় অনেক বেশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান রুহুল আমিন। তিনি বলেন, বরই চাষে সবমিলিয়ে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। আশা করছি নিজেরা খাওয়ার পরও ৯০ থেকে ১ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারব।
এ ছাড়াও তিনি ১০ শতক জমিতে আম কেজিফোর রুপালী খাঁটিমুন, ১০ শতক জমিতে লেবু পাঁচ ছাড়াও পতিত জায়গায় বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধী গাছ রোপণ করেছেন। তার এধরনের উদ্যোগ দেখে চাষাবাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন আশপাশের এলাকার বেকার যুবকেরা। চাষাবাদের বিষয়ে যুবকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান রুহুল আমিন।