হলুদে ছেয়ে গেছে নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার ফসলের মাঠ। যত দূর চোখ যায় যেন সরিষার হলুদ ফুলের মাখামাখি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। সরকারি প্রণোদনা এবং দাম ভালো পাওয়ায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। যেখানে সরিষার ব্যাপক ফলনের হাতছানি দিচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ১১টি উপজেলায় ৪৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের বারি-১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ এবং বিনা-৪, ৯ ও টরি-৭ সরিষার আবাদ করা হয়েছে। গত বছর ৩৪ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিল। যা এ বছর লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১৩ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। যেখানে উপজেলা ভিত্তিক সরিষার আবাদের পরিমাণ সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬২০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলা ৬ হাজার ৬৬৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩ হাজার ১০ হেক্টর, মান্দায় ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২ হাজার ৬৯০ হেক্টর, বদলগাছীতে ১ হাজার ২৬০ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩ হাজার ৩৫৫ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর, সাপাহারে ৫ হাজার ৫৯০ হেক্টর এবং পোরশায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর। যেখানে ৭২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। এ বছর জেলায় ২৮ হাজার ২০০ জন কৃষকের মাঝে উন্নত জাতের ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বৃদ্ধ করা হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হওয়ার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষীরা। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, সরিষা আবাদ করার জন্য কৃষকদের শুরু থেকে উৎসাহিত করা হয়েছে।