ফসলের মাটি ইটভাটায় বিক্রি

পাবনায় জমির ফসল নষ্ট করে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। সরিষা, পেঁয়াজ, মরিচ, মসুরসহ নানা ফসলে ভরে উঠা ফসলি জমির মাঠ থেকে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। ট্রাক যোগে এইসব মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা ও বসতভিটায়। গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে ভারি ট্রাক চলাচলে রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। সদর উপজেলার চরতারাপুরে এভাবে মাটি কেটে ফসলি জমি নষ্ট করার সাথে জড়িতরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীরা। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন সব কিছু জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুন টাটিপাড়ার ফসলি মাঠে চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খানের লোকজন মোটা বালু ও মাটি কাটছে। চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মাটি কাটার সাথে আমি বা আমার কোনো লোকজন জড়িত নাই। এই মাটি কাটছে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবু ও সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ। তারা প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গাড়ি মাটি কাটছে। সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ বলেন, গত ১০ বছরেও আমি ওই এলাকায় যাইনি। ওই এলাকাতেই চেয়ারম্যান সিদ্দিক খানের বাড়ি। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে সে ভোট করে জিতেছে। আমরা নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছি, কিন্তু চেয়ারম্যানের এলাকা হওয়ায় আমরা ওই এলাকাতেই যাই না। এলাকাটি তার ভাই সাহাব উদ্দিন খান ও সহযোগিরা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের নাম জড়ানো সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, আমি ইতোমধ্যেই লোক পাঠিয়েছি। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।