হাড় কাঁপানো শীতে জনদুর্ভোগ চরমে
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মাহফুজ খন্দকার, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে শৈত্যপ্রবাহের ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঘন কুয়াশা আর অতিরিক্ত শিশির ঝড়ার ফলে সদ্য রোপণকৃত বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। সকাল ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। উত্তরীয় হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম, যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকে কাজে যেতে পারছেন না। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। সদর উপজেলার চর মাধবরাম এলাকার অটোরিকসাচালক মজিবর রহমান জানান, ‘বাপুরে ঠান্ডাত হাত-পাও শিক নাগি যায়। কাঁশতে কাঁশতে অবস্থা খারাপ। দুই দিন বসি আছলং। পেটের দায়ে ফির অটো নিয়া বেড়াইছি।’
সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন ও হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর এলাকার কৃষক ওমেদ আলী জানান, রোদ না পাওয়ায় বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে বীজতলা পানিতে ডুবে যাচ্ছে বীজও সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলা নিরাপদ রাখতে আমরা মাঠপর্যায়ে চাষিদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি, বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রেজা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের খুব সমস্যা হচ্ছে। তারা কাজে যেতে পারছে না। ফলে আয় বঞ্চিত হয়ে ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে। প্রতি বছর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বৃত্তবানরা গরম কাপড় দিয়ে সহায়তা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মিলছে না। বিশেষ করে শিশুদের জন্য গরম কাপড় ও মহিলাদের জন্য চাদরের চাহিদা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন মিয়া জানান, গত সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফোরকাস্ট অনুযায়ী এ মাসে দুটি মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।