বগুড়ার শেরপুরে মাদক কারবারি-ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চার গ্রামবাসী। পাশাপাশি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ভিটেমাটি রক্ষার আবেদনও জানিয়েছেন তারা। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে একই ইউনিয়নের আম্বইল, গোড়তা, বালেন্দা ও ভাদড়া গ্রামের ভুক্তভোগী অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ছাড়াও এলাকার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় আম্বইল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সোলাইমান আলী অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় মাদক কারবারি বলে পরিচিত কমল সিং ও তার লোকজনের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ এসব গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষ। বিশেষ করে নিজের ভিটামাটি নিয়ে শঙ্কিত। কারণ, ভবানীপুর ইউনিয়নের চার গ্রামের অন্তত অর্ধশত ব্যক্তির শত বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে ওই চক্রটি। জবরদখলে বাধা দিলে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তার ১৫ বিঘা ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। একইভাবে দেড় মাস আগে কৃষক আব্দুস সালামের ৫ বিঘা দখল করে নিয়েছেন। অথচ এসব জমিতে বোরো ধান চাষ করার জন্য বীজতলাও তৈরি করেছেন ওই কৃষক। এভাবে একের পর তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত কমল সিং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যেসব জমি নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলো তাদের দখলীয় জমি। জমিগুলো সরকারি খাস সম্পত্তি হলেও পূর্বপুরুষ থেকে তাদের দখলেই রয়েছে। স্থানীয় কিছু কৃষক জমির ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে মালিকানা দাবি করছেন। আমরা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করিনি। নিজেদের সম্পত্তিই দখলে নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।