সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরা বন্ধ নেই
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্যে বন্ধ হয়নি অবৈধ মাছ শিকার। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্যে মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকলেও কতিপয় অসাধু বনকর্মকতার কারণে তা বন্ধ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাঝে মাঝে সহকারী বন সংরক্ষকের অভিযনে আটক হলেও কিছু বন কর্মকতার প্রত্যক্ষ মদদে দেদারছে চলছে অভয়ারণ্যে মাছ শিকার। জেলেরা বলেছেন, কোবাদক বন অফিস থেকে পাশ নিয়ে কতিপয় কর্মকতা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করছে। জেলেরা জানান, একজনের জন্য মাছধরার অনুমতির জন্য খরচ ১৫ টাকা হলেও কোবাদক বন অফিস নিচ্ছে ৫ হাজার টাকা। বনে প্রবেশ করে নোটাবেকি, পুষ্পকাটি ও দোবেকী বনফাড়ীকে ম্যানেজ করতে হয়। প্রতি ফাড়িতে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ধরতে হয়। বন অফিস ম্যানেজ করে অভয়ারণ্যে মাছ ধরলে অল্প সময়ে অনেক মাছ পাওয়া যায়। মরগাংএর’র জেলে সুধীন জানান, বনদস্যু বর্তমানে নাই বললেও চলে, দস্যুদের টাকা দিতে হয় না, কিন্তু বন র্কমকর্তাদের অনেক টাকা দিতে হয়। তিনি এর জন্য কোবাদক কর্মকতা একে এম ফারুক হোসেন, নোটাবেকী টহল ফাড়ী, পুষ্পকাটি টহল ফাড়ি ও দোবেকী টহল ফাড়ি কর্মকতাদের দায়ী করেন। কথা হয় পার্শেমারীর জেলে দেবেনের সাথে তিনি বলেন অভয়ারণ্যে মাছ ধরলে এখন আর তেমন লাভ হয় না। কারণ যা আয় হয় তা প্রায় কোবাদক বন অফিস নোটাবেকী, দোবেকী ও পুষ্পকাটির ফাড়িকে হয়। এ ব্যাপারে কথা হয় কোবাদক স্টেশন অফিসের কর্মকর্তা একে এম ফারুখ হোসেনের সাথে তিনি বলেন, জেলেদের এই সব অভিযোগ ঠিক না তাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয় না। কথা হয় সহকারী বন সংরক্ষক একেএম হাসান মাহামুদের সাথে তিনি বলেন, অভয়ারণ্যে কোনো নৌকা প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। প্রবেশ করলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতক্ষ্যদর্শী জেলেরা জানালেন, সুন্দর বনের অভয়ারণ্যে কয়েক হাজার জেলে নৌকা মাছ ধরছে। ফলে সুন্দরবনের নদী ও খাল মাছশূন্য হয়ে পড়ছে।