ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় ধানের দাম মণে বেড়েছে ৫০-৮০ টাকা

নওগাঁয় ধানের দাম মণে বেড়েছে ৫০-৮০ টাকা

নওগাঁর বাজারে ধানের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতিমণ ধানে বেড়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। দাম বাড়ায় খুশি চাষিরা। চাষিরা বলছেন- ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানে দাম কম বেশি করে। ব্যবসায়ীরা ধানের দাম পেলেও ন্যায্যদাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয় চাষিদের। শয্যভাণ্ডার খ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁ। আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ। প্রয়োজনে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বাজারে সরবরাহ করছেন। ধানের দামে চাষিরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও দ্রব্যমূল্য, সার ও তেলের দাম বাড়ায় অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। জেলার রানীনগর উপজেলায় গত মঙ্গলবার ছিল হাটবার। সেখানে সপ্তাহে মঙ্গল ও শনিবার হাট বসে। এ দিন হাটে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের দাম ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১১৭০ থেকে ১১৯০ টাকা। এছাড়া ৪৯ জাতের ধান ৮০ টাকা বেড়ে ১৩০০ থেকে ১৩৩০ টাকা, পাইজাম ১৩৮০ থেকে ১৪৫০ টাকা এবং কাটারিভোগ ১৬৬০ থেকে ১৬৮০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ধানের দামে খুশি হলেও চাষিদের অভিযোগ- বাজারে ধানের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যায়। কিন্তু কৃষকদের ঘরে ধানের পরিমাণ কমে গেলে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কম-বেশি করে। তারা ধানের দাম পেলেও চাষিদের ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। উপজেলার ত্রিমোহনী গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা বাজারে ধান নিয়ে এলে কোনো হাটে দাম বেশি হয় আবার কোনো হাটে কম। ব্যবসায়ীরা ঠিকই ব্যবসা করেন। মাঝখানে কৃষকরা দাম থেকে বঞ্চিত হয়। ধান উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়েছে। দাম বেশি থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। সদর উপজেলার চুনিয়াগাড়ী গ্রামের কৃষক করিম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে ধানের দাম পেয়ে আমরা খুশি। যদি এই দাম থাকে বা এর চেয়ে একটু বেশি হয় তাহলে কৃষকদের জন্য খুবই সুবিধা হয়। আগামীতে হয়তো ধানের দাম আরো বাড়বে। ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ী রায়হান আলী বলেন, শুরুতে ধানের দাম বেশি ছিল। মাঝখানে কিছুটা দাম কমে আবারও বাজার বাড়তে শুরু করেছে। প্রকারভেদে প্রতিমণ ধান ৫০-৮০ টাকা বেড়েছে। এ হাটে ১২০০-১৫০০ মণ ধান বেচাকেনা হয়। যার জোগান দেয় আশপাশের চাষিরা। এ পরিমাণ ধানের বাজার মূল্য প্রায় ১৮-২০ লাখ টাকা। এ হাটে বেশিরভাগ ধান কিনেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত