তিতাসে সরকারি উন্নয়ন
বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা)
কুমিল্লার তিতাসে গ্রামীণ উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে দেয়া হচ্ছে সে অর্থ ফেরত। উপজেলার বালুয়াকান্দি কেন্দ্রীয় কবরস্থান উন্নয়নের জন্য উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দ উন্নয়ন কাজে ব্যয় না করে স্থানীয় লোকজন ভাগাভাগি করে নেন। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে বালুয়াকান্দি থেকে ভাজরা সড়কে মাটিয়া নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের নিকট গ্রামবাসী দাবি জানান। এদিকে বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে বালুয়াকান্দি ও কাকিয়াখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩৫ হাজার, বালুয়াকান্দি গ্রামের তোতা মিয়া ২২ হাজার, মো. হক মিয়া ২২ হাজার, শাহ আলম ৮ হাজার, নাজিম উদ্দিন ৮ হাজার, আবুল কাসেম ৮ হাজারসহ ১ লাখ ৩ হাজার ভাগ করে নিয়ে যায়। ২ হাজার টাকা যাতায়াত ও নাস্তা বাবদ খরচ করা হয়। বাকি ২৫ হাজার টাকা বালুয়াকান্দি গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থান উন্নয়নের জন্য আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তির কাছে জমা রাখা হয়। বরাদ্দকৃত দেড় লাখ টাকা থেকে ভ্যাট বাবদ ২০ হাজার টাকা কর্তন করা হয়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আবু হানিফ বলেন, আমি আমার গ্রামে নিজ টাকায় একটি সাঁকো দিয়েছি। উক্ত টাকা থেকে আমি আমার খরচ করা টাকা নিয়েছি। বালুয়াকান্দি গ্রামের হক মিয়া বলেন, হানিফ মেম্বার কোনো সাঁকো নির্মাণ করেনি। গ্রামবাসীর টাকায় সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। কাকিয়াখালীর গ্রামে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে অবগত করি। আমার পরিষদের কোনো ব্যক্তি অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই তার বিচার করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, সাঁকোর জন্য বরাদ্দের টাকা পেতে একটু দেরি হয়ে যায়। তবে গ্রামবাসী যেহেতু নিজ উদ্যোগে সাঁকোটি নির্মাণ করে ফেলেছে। তাই তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কোন খাতে উক্ত টাকা ব্যয় করা যায়, তাদের দাবি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে উন্নয়নের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে যে পরিস্থিতির কথা জানতে পারলাম তা খুবই দুঃখজনক।