নীলফামারীতে শীতের সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী
কুয়াশার চাদরে ঢাকা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তিস্তার চরাঞ্চলের জনজীবন। ঠান্ডা জেঁকে বসতে শুরু করায় বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ। শীতবস্ত্রের অভাবে কোনোমতে পুরোনো কাঁথা-কম্বল জড়িয়ে রাত পার করছে তারা। শীত নিবারণে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ ছুটছে লন্ডা নামের হকার্স মার্কেটে। এবার সেখানেও দাম চড়া। এদিকে শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছে বয়স্ক ও শিশুরাই। এরই মধ্যে শীতার্তদের মাঝে ৩১ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে প্রশাসন। ঘন কুয়াশায় বিভিন্ন যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে শিশু আর বয়স্করা সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেখানে তীব্র শয্যা সংকট আর গাদাগাদি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ডায়রিয়া ওয়ার্ড আর ১০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি থাকছে ৭০ থেকে ৭৫ জন রোগী। হকার্স মার্কেটে গরম কাপড় কিনতে আসা শহরের প্রগতি পাড়ার মর্জিনা ও সাজেদা বলেন, এখানেও পণ্যের দাম চড়া। হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বাড়ায় মার্কেটে গ্রাহক কমেছে আর বেচাকেনা কম হওয়ায় ব্যাংক ঋণের কিস্তিসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী পরিবেষ্টিত পূর্ব ছাতনাই ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে জেঁকে বসেছে শীত। দুর্ভোগে কাটছে চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খড়কুটো জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সেখানকার মানুষ। এ বিষয়ে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ খান বলেন, চরাঞ্চলে ৪৯০টি কম্বল বিতরণ করেছি, উপজেলায় বলেছি এলে বিতরণ করব। নীলফামারী আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু আল হাজ্জাজ বলেন, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।