সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির ফলে এবছর সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছে সাতক্ষীরা চাষিরা। জেলায় গত বছরের মতো এবারও সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে আমন ধান ওঠার পর থেকে বোরো ধান লাগানোর আগ পর্যন্ত জমি ফাঁকা থাকে। তাই অন্যান্য শাকসবজির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে সরিষার আবাদ করেছেন জেলার অধিকাংশ কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ জানান, আবহাওয়া সরিষা চাষের উপযোগী এবং সরিষা চাষে কম খরচ ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় কৃষক গত বছরের ন্যায় এবারও বেশির ভাগ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। এই জেলার মাটি ও আবহাওয়া শস্য চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবছর সাতক্ষীরা জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজর হেক্টর জমিতে। চাষ করা হয়েছে ১৩ হাজর ৮৪০ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি জমিতে বারি-১৪, বারি-১৮ জাতের চাষ করা হয়েছে। জেলার তালা, কলারোয়া ও দেবহাটা উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় সরিষা আবাদ ভাল হয়েছে। ফুল ও ফল ধরেছে ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সরিষা চাষি মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান মোড়ল ও মোহাম্মদ কাউসার গাইন জানান, অল্প সময়ে কোনো প্রকার দুর্যোগ ও রোগবালাই না থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। তারা আরও জানান, সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির ফলে এবছর সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছে সাতক্ষীরা চাষিরা এবং অন্য বছরের তুলনায় এবছর সরিষার ফলনও অনেক বেশি বলে জানালেন কৃষক। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. জামাল উদ্দীন জানান, ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহ প্রদান করতে সরকারিভাবে সরিষা বীজ সহায়তা, প্রণোদনা ও নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।