ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিনের উদ্যোগে খাল খননে বদলে গেছে গ্রাম

ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিনের উদ্যোগে খাল খননে বদলে গেছে  গ্রাম

আবর্জনা ও পলিমাটিতে ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছিল চাঁন্দিনার বিল খালটি। পাড়ে গাছ-গাছালি ও লতাপাতায় হাঁটা যেত না। অনেক স্থানে জোয়ার-ভাটার পানি আসা-যাওয়া ছিল বন্ধ। এতে খালের পাশে আবাদি অনেক জমি জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। খালটি খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করা হয়েছে। দুই পাড়ে মাটি দিয়ে বাঁধাই করে তৈরি করা হয়েছে হাঁটার রাস্তা। সহজে জোয়ার-ভাটার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়াডের পিটু খালের শাখা কুমার বাড়ি হইতে কুল্লার পুকুর হয়ে মোল্লার পোল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার খাল খনন করেন ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন। হামছাদী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, মেম্বার শাহাবুদ্দিনের উদ্যোগে খাল খনন করে স্থানীয় এলাকাবাসীর কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হবে। গত এক শতক ধরে খালটি মরা ছিল, খালটি ১৭ দিনে খনন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধা, নুরুল উল্যা বলেন, চান্দিনাবিল খালটি ১০০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি, বেড়ির পশ্চিমের খালটি সাহাবুদ্দিন মেম্বারের নিজ খরচে খনন করা হয়। মেম্বার শাহাবুদ্দিন বলেন, পিটু খালের শাখা কুমার বাড়ি হইতে কুল্লার পুকুর হয়ে মোল্লার পোল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার খাল খনন করতে আমার ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এটি আনুমানিক ১০০ বছর আগে একবার খনন করা হয়েছিল। খালটি পলি জমে জমে নালায় পরিণত হয়। বড় খালগুলো অনেক দূরে হওয়ায় এই খাল দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত