ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বালু উত্তোলনে হুমকিতে বাঁধ

বালু উত্তোলনে হুমকিতে বাঁধ

পাবনায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী রক্ষা বাঁধ। ভাঙন রোধে সরকারের নেয়া জিও ব্যাগ প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীপাড়ে তীব্র ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুপিনপুর ও ভাটপাড়ায় দুটি পয়েন্ট করে দিন ও রাতে ২৪ ঘণ্টা এই বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলার প্রভাবশালী দুটি চক্র। একাধিক ভেকু দিয়ে ৪০-৫০টি বালুবাহী ট্রাকের সাহায্যে এই বালু উত্তোলন হলেও রহস্যজনকভাবে নিরব রয়েছে প্রশাসন। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ব্যক্তি মালিকানাধীন এইসব জমির মালিকদের কোনও ধরনের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোর করেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এনিয়ে প্রতিবাদ করলেই জমির মালিকদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার সত্তে একাধিক সূত্র জানায়, প্রথম দিকে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় বেশিরভাগ বালু উত্তোলন হতো। ফলে তার প্রতিপক্ষ বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করত। সম্প্রতি দুইটি পক্ষই এখন সমন্বয় করে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে। এজন্য তারা দুইপক্ষ দুটি পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে। প্রভাবশালী এই দুইপক্ষের সমন্বয়ের ফলে একদিকে প্রশাসন যেমন কিছু বলছে না অপরদিকে সাধারণ মানুষও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। বালু উত্তোলনের এই কর্মযজ্ঞে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল ওহাব এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের নাম উঠে আসলেও তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

মো. আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমি বালু কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি এর ঘোরতর বিরোধী। আপনারা এই বিষয়ে লেখালেখি করেন, আপনারা যদি কিছু করতে পারেন তাহলে আমি আপনাদের স্যালুট করব।’

শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। হয়তো এই উপজেলার যারা আওয়ামী লীগ করে তারা হয় আমার সাথে নয়তো ওহাব সাহেবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। এখন কে কোথায় কী করছে সব খবরই আমার রাখা সম্ভব হয় না। এগুলো তারা কেন করে, কী কারণে করে আল্লাহ ভালো জানেন।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত