সড়কে তিনজন নিহত
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সিরাজগ?ঞ্জে ট্রাক চাপায় মাদরাসা শিক্ষক, পাবনায় ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক এবং যশোরে বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পাইকপাড়া ইছামতি মোড়ে ট্রাকচাপায় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলা সোবহান নিহত হয়েছেন। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার কান্তনগর ঈশ্বরঘাট গ্রামের বাসিন্দা এবং ধুনটের এলাঙ্গী মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল। কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকাল রোববার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
ঈশ্বরদী (পাবনা) : ইটবোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক আব্দুস সাত্তার নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার তিলকপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সাত্তার (৩২) উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রতিরাজপুর গ্রামের আতোবার খানের ছেলে।
ঈশ্বরদী থানার এসআই দোলা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইটবোঝাই পাওয়ার ট্রলি ঈশ্বরদী শহরের দিকে আসার পথে বিপরীতদিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুস সাত্তার নিহত হন।
অভয়নগর (যশোর): যশোরের অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়া বাজার যশোর-খুলনা মহাসড়কে বাসচাপায় মো. ইকবাল হোসেন নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার চেঙ্গুটিয়া বাজারে যশোর-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহতের বন্ধু নয়ন শেখ নামে এব যুবক গুরুতর আহত হলে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে ক্ষুব্ধ জনগণ চেঙ্গুটিয়া বাজোরে যশোর-খুলনা মহাসড়ক এস্কেবেটার মেশিন দিয়ে খুরে স্প্রিডব্রেকার তৈরি করেন। নিহত ইকবাল হোসেন উপজেলার বুইকারা গ্রামের আব্দুর রহিম মুন্সীর ছেলে। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ইলেকট্রিক কাজ করতেন। গুরুতর আহত নয়ন শেখ একই গ্রামের মুজিবর শেখের ছেলে। নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, বাসচাপায় ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর চালকসহ বাসটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়কে অবস্থান করে। প্রায় এক ঘণ্টার পর তাদের বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।