শীতে কাঁপছে ছিন্নমূল মানুষ
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সারাদেশ কনকনে ঠান্ডা, শৈত্যপ্রবাহ, ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গাইবান্ধা : গাইবান্ধার অসহায় ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। হিমেল হাওয়া এবং ঠান্ডার কারণে দিনমজুররা কাজে যেতে পারছে না। অপরদিকে অন্যান্য বছর যেভাবে দরিদ্র অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়ে সহায়তা দিতে বিভিন্ন এনজিও, সংগঠন এবং সরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র এবং খাদ্য সহায়তা দেয়া হতো এবারে সেরকম কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নিরন্ন দিন কাটাচ্ছে অনেকে। বিশেষ করে চর এলাকায় এই অবস্থা চলছে। ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৫০০ পিস কম্বল পাওয়া গেছে। তা দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহিল মাফি জানান, গত কয়েকদিনের প্রবল শীতে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দশগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। ফলে এসব রোগী নিয়ে চিকিৎসক এবং নার্সরা হিমশিম খাচ্ছে।
সাঘাটা (গাইবান্ধা) : এদিকে গত ৪/৫ দিন ধরে একটানা শৈত্যপ্রবাহ এবং হিমেল হাওয়ার সাঘাটা উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রীগণসহ বিশেষ করে চরাঞ্চলের নদীর তীরবর্তী এলাকার বৃদ্ধ, শিশু, দিনমজুর শ্রমিকদের শীতের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও শীতজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধারা। শীতের কারণে নিউমোনিয়ার রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) : ভূরুঙ্গামারীতে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুপুরে উত্তাপহীন সূর্যের দেখা মিললেও বিকালের আগেই তা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন মিয়া জানান, গতকাল রোববার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।