সুন্দরবনের হরিণ শিকারিরা সক্রিয়
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি ও কতিপয় বনকর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে সুন্দরবনের প্রাণী জীববৈচিত্র্য হারাতে বসেছে। শীতের শুরুতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের হরিণ শিকারিরা। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও তা মানছে না চিহ্নিত হরিণ শিকারিরা। প্রতিনিয়ত গভীর সুন্দরবন থেকে ফাঁদ পেতে ও চোরাই বন্দুক দিয়ে হরিণ শিকার করছে শিকারিরা। পেতে রাখা ফাঁদে অনেক সময় বাঘসহ সুন্দরবনের অন্য প্রাণী আটকে মারা যায়। প্রশাসনের সাথে চিহ্নিত হরিণ শিকারি সদস্যদের সাক্ষাৎ ও মেলে চোখে পড়ার মতো। তাদের সাথে চুক্তিতে হরিণ শিকারে নেমে পড়ে শিকারিরা। যে কারণে হরিণ শিকার করে পার পেয়ে যাচ্ছে চোরা শিকারিরা। বনবিভাগের সদস্যরা হরিণ শিকারিদের ধরতে অভিযানে যাওয়ার আগে খবর পেয়ে সর্তক হয় চক্রটি। বনবিভাগের অভিযানে হাতে নাতে কয়েকটি পাচারকারিসহ চোরাকারবারিদের যানবহন আটক করলেও আইনের ফাকফোকরের মধ্যেদিয়ে বের হয়ে এসে আবারও নেমে পড়ে হরিণ শিকারে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী বনবিভাগের কাছে হরিণ শিকারিদের ৪ স্টেশনে ১০৮ জনের একটা তালিকাও রয়েছে। তার মধ্যে কোবাদক স্টেশনে ৩০ জন, বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে ৪২, কদমতলা স্টেশনে ২০, কৈখালী স্টেশনে ১৬ জন। চড়া দামে হরিণের মাংস বিক্রয় হওয়ার কারণে ক্রেতাদের বিশ্বাস করাতে চোরা শিকারিরা জীবান্ত হরিণ লোকালয়ে এনে ক্রেতাদের সামনে করা হচ্ছে জবাই। জবাই করা হরিণের ছবি তুলে বাইরের ক্রেতাদারে কাছে পাঠানো হয় বিশ্বাসের জন্যে। পরিবেশবিদ মোহন কুমার মন্ডল বলেন, প্রতিনিয়ত হরিণ শিকারের কারণে সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। অচিরেই যদি হরিণ শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা যায় তাহলে প্রাণী শূন্য হবে সুন্দরবন। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মমকর্তা ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমারা সব সময় সজাগ আছি।