সাতক্ষীরায় গাছের মরা ডাল ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শাহীন গোলদার, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার-আশাশুনি সড়কের দুই পাশে কয়েক হাজার মরা গাছ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২৪ কিলোমিটার সড়কে এসব গাছ ভেঙে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এক বছর ধরে গাছগুলো শুকিয়ে মরে গেছে। সড়কের দুই পাশে মরা গাছের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে রাত-দিন যাতায়াত করতে হয়।

বর্তমানে গাছগুলো একেবারে শুকিয়ে গেছে। ঝড় বৃষ্টিতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। অনেক সময় সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও পথচারীরা ছোট খাটো দুর্ঘটনার শিকার হন। সড়কের পাশের গাছ মরার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা গাছ কাটার দাবি জানিয়েছেন। তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা এলাকার মোটরসাইকেল চালক হযরত আলী, শফিকুল ইসলাম,আনারুল গাজী ও ইজিবাইক চালক রফিজ উদ্দিন, আব্দুল করিমসহ অনেকেই জানান, সড়কের দুই পাশে মরা গাছের কারণে দিন-রাত ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করতে হয়। একটি চক্র মরা গাছের ডাল ভেঙে জ্বালনির কাঠ হিসেবে বিক্রি করছে। এক সপ্তাহ আগে আশাশুনি থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে তাদের সামনে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য বেঁচে যান তারা।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজান চৌধুরী জানান, সড়কের দুই পাশে লাগানো শিশু গাছ এক বছর আগে পোকা লেগে শুকিয়ে গেছে। চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। গাছের ডাল ভেঙে পথচারীদের মাথায় পড়ছে।

সাতক্ষীরার সামাজিক বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার জানান, ধারণা করা হচ্ছে মাটিতে লবণাক্ততা পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি এক ধরনের পোকার কারণে এসব গাছ দ্রুত মরে শুকিয়ে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম জানান, বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচন করার সময় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, জেলার বিভিন্ন রাস্তায় গাছ মারা যাচ্ছে। এক ধরনের পোকার উপদ্রবে গাছের ছাল নষ্ট হচ্ছে। গত ১২ ডিসেম্বর এক সভায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।