ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘাঘট নদী বালু খেকোদের দখলে

ঘাঘট নদী বালু খেকোদের দখলে

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ঘাঘট নদ। এরই মধ্যে এই নদটি রয়েছে বালুদস্যুদের দখলে। তারা বিভিন্ন স্থানে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এর ফলে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও বসতবাড়ি।

জানা যায়, উপজেলার বনগ্রামের টুনিরচর থেকে নলডাঙ্গার শ্রীরামপুর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার বয়ে গেছে ঘাঘট নদ। এই নদীটির বেশ কিছু পয়েন্টে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে কতিপয় মহল। বিশেষ করে নদীর তীরবর্তী ও আশপাশের এলাকার অনেকে নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলন করছে। তারা নদীতে মেশিন বসিয়ে ফসলি জমি ও বাড়ির উঠান রাস্তার পাশ দিয়ে হাজার হাজার ফুট পাইপ টেনে অবাধে বালু তুলছে। লাখ লাখ টাকা মূল্যের এইসব বালু বিক্রি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন বালুদস্যুরা। এর প্রভাবে নদী ভাঙনে মানুষ হারাচ্ছে বাপ-দাদার বসতভিটা ও ফসলি জমি। কেউ কেউ ভূমিহীন সেজে আশ্রয় নিচ্ছে অন্যত্র। এই বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনকে জানালেও কোনোরূপ কর্ণপাত করা হয়নি ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তবে জোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এমন অভিযানে কয়েকদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার পর আবারও চালু করা হয় বালু তোলা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয়রা জানায়, ওইসব মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। শুধু ঘাঘট নদ থেকে নয়, কৃষি জমি থেকেও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গ্রামীন রাস্তা পাশ দিয়ে পাইপ টানার কারণে জলাবদ্ধসহ চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাইফুর রহমান বলেন, আমি ট্রেনিং নিতে ঢাকায় আছি। বিষয়টি ইউএনও দেখবেন। উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, বালু তোলার বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত