শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বিষ্ণপুর খুররম বাজার (চরণতলা কালী মেলা মাঠ সংলগ্ন) সরকারি বাজারে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাজারটি স্থাপনের আগে তৎসংলগ্ন সরকারি কোনো জায়গা না থাকায় জাপার সাবেক এমপি মৃত খন্দকার মোহাম্মদ খুররম ২৫ শতাংশ রেকডিও জমি ক্রয় করে বাংলাদেশ সরকারের নামে লিখে দেন। এরপর থেকে ওই জমির ওপর টিনসেড ছাপড়া নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে এলেও সেখানে কোনো পাকা স্থাপনা নির্মাণ হয়নি। এতদিন ওই বাজারে পাকা স্থাপনা নির্মাণের সাহসও পায়নি কেউ। হঠাৎ করে ওই বাজারের ইজারাদার জৈনক রফিক ডাক্তারের যোগসাজশে রুবেল, এরশাদ, সুলাইমান, মাসুদ, ও শফিকুল একযোগে পাঁচটি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। যার প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষের দিকে। তাদের এ পাকা স্থাপনা নির্মাণের ফলে সরকারি বাজারটি গ্রাসের মুখে পড়ছে। অন্য ব্যবসায়ীরা বাজারের সরকারি জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে জাপার সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম খন্দকার মোহাম্মদ খুররমের দানটিও ভেস্তে যেতে বসেছে। এ বিষয়ে বাজার ইজারাদার রফিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য দোকানগুলো পাকাকরণ করা হচ্ছে। এতে প্রশাসনের অনুমোদন নেয়ার কী আছে? সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবিরকে অবৈধভাবে পাকা ঘর উত্তোলনের বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি বাজার ইজাদারকে বলুন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় পাকাঘর নির্মাণের বিষয়ে তিনি দেখবেন বলে জানান। বিষ্ণপুর বাজারের সরকারি জায়গাতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
