ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের কর্মবিরতির মেয়াদ আরো তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আইনজীবী সমিতির সভায় নতুন করে আরো তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে এর মধ্যে বিষয়টির সুরাহা হলে আইনজীবীরা কাজে যোগ দেবেন। এদিকে আইনজীবীদের টানা ১২ দিনের কর্মসূচিতে আদালতে ‘অচলাবস্থা’ বিরাজ করছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা। এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ ও বিচারকের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানসহ বিচারকাজ বিঘ্ন করার অভিযোগে দুই দফায় ২৪ আইনজীবীকে উচ্চ আদালতে তলব করা হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে একজন আইনজীবী মামলা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
একাধিক সূত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির এক সভায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মণ্ডদুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এদিকে এজলাসে ঢুকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের ঘটনায় বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। এদিকে বিচারকের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়ার অভিযোগে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ২১ জনকে ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-আজিজের বেঞ্চ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, গত মঙ্গলবার আমরা আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ এবং জেলা জজ আদালতের নাজির (বর্তমানে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে প্রেষণে সেরেস্তাদার হিসেবে বদলিকৃত) মোমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে নতুন করে আরো তিন দিনের (কার্যদিবস) কর্মসূচি দিয়েছি।