ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১৫ জন নারীর নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। অথচ ২১ মাসের চাল থেকে বঞ্চিত হয় ১২৬ জন উপকারভোগী। তদন্তে যার সততা মিলেছে। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, রাজিবপুর ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- উপসহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য আবুল কায়সার তালুকদার ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরা। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সানোয়ার রাসেল জানান, গত ৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। উক্ত অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির দায় এড়াতে পারেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজা জেসমিন জানান, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি।