সিরাজগঞ্জে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যর চেয়ে খোলা বাজারে মূল্য বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৯ উপজেলায় এবার ৩ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন ধান এবং ৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধান ও চাল সংগ্রহে সরকারি মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা এবং সিদ্ধ চাল ৪২ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছে সরকার। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত মূল্যে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। তবে সরাসরি কৃষকদের কাছে এ দামে ধান চাল সংগ্রহে এখনো তেমন প্রভাব পড়েনি। বাজারের তুলনায় সরকারি দাম কম থাকায় কৃষক ও মিলাররা খাদ্য গুদামে ধান, চাল সরবরাহে এখনো অনাগ্রহ রয়েছে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবশ্য সরকারের সঙ্গে এ পর্যন্ত ২২০টি মিলের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখনো ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে ধান ও চাল সরবরাহ না করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জোর চেষ্টা চলছে। এ সংগ্রহ অভিযান ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ক্রয় অভিযান চলবে।
সাঁথিয়া (পাবনা) : চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে এক মুঠো চালও সংগ্রহ করতে পারেনি পাবনার সাঁথিয়ায় খাদ্য অধিদপ্তর। সরকারি মূল্য থেকে বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় এ অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ অভিযান চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উপজেলা চাউলকল মালিক সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি।
এ কারণে গুদামে চাল সরবরাহ করা হলে ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে। সাঁথিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহিনুর ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় মিল মালিকরা গুদামে দিচ্ছেন না।