পাঁচ মেয়ের অর্জন তায়কুয়ান্ডো ব্ল্যাক বেল্ট

বাংলাদেশ তায়কুয়ান্ডো ফেডারেশনের ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করেছে কক্সবাজারের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পালস্ পরিচালিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সেবা কেন্দ্র পালস্-বানি একাডেমির পাঁচজন মেয়ে। পালস্-বানি একাডেমির নিবাসী শিশুদের ৩ দিনব্যাপী পর্যবেক্ষণ, প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিজয়ীদের কোমরে বেল্ট পরিয়ে দেন ফেডারেশনের পর্যবেক্ষক দল প্রধান কোরিয়ান তায়াকুয়ান্ডো মাস্টার জুসাং লি। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে কাজ করছি, আমি অবাক হয়েছি। এখানে পালস্ বানি একাডেমিতে অবস্থানকারী শিশুদের মনবল দেখে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে এসব সুবিধা বঞ্চিত ছেলেমেয়েরা যে এতো দূর এগিয়েছে, তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আমি তায়াকুয়ান্ডো ফেডারেশনকে এবং কোরিয়ান সরকারকে এই শিশুদের কথা জানাব। এখন তারা আরো বড় পরিসরে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত মেয়েরা হলেন- দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রেখামনি ও রিয়া মণি, ৯ম শ্রেণির সাদিয়া, দশম শ্রেণির রাজিয়া এবং ৮ম শ্রেণির তানিয়া। সবাই প্রায় দু’বছর ধরে বানি একাডেমিতে অবস্থান করছে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় এ শিশু নিবাসের ৫ জন রেড বেল্ড ও ২২ জন ইয়োলো বেল্ট অর্জন করে।

পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, দুই বছর আগে যখন আমরা এ প্রকল্প শুরু করেছিলাম, তখন এমন অবস্থান থেকে শিশুরা এখানে এসেছিল, যেখানে তাদের পরিবারে থাকার জায়গাসহ দু’বেলা খাবারও ঠিকভাবে জুটতো না। আজ তারা সমাজের অপরাপর সুবিধাভোগী শিশুদের অনেকটা সমমানের। এক একজন দক্ষ খেলোয়াড় কেউবা ভালো শিক্ষার্থী কেউবা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অদম্য। আমাদের লক্ষ্য এই শিশুদের দেশের সম্পদ ও সুনাগরিকে পরিণত করা। আর এ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এগিয়ে চলছে বাস্তবায়নের পথে।

আমাদের এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি বেসরকারি সংস্থা বানি স্ট্রিট। জেলার ৪৮ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সমাজের মূল স্রোত ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা লক্ষ্যে আমাদের যাত্রা এরই মধ্যে ৩২ শিশুকে বিনামূল্যে থাকাণ্ডখাওয়া, পোশাক, শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, নৈতিক শিক্ষা, দেশীয় সাংস্কৃতিক চর্চা নেতৃত্ব গঠন মূলকসহ নানান বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এই নিবাসে অবস্থান কারি শিশুরা তায়াকুয়ান্ডো, ব্যাটমিন্টন ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করছে।