ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রঙিন ফুলকপি চাষে সফল শফিকুল

রঙিন ফুলকপি চাষে সফল শফিকুল

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সারাবছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। শফিকুল তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈবসার প্রয়োগ করে চার রংয়ের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর ক্ষেতে আসে রঙিন ফুলকপি। শফিকুল জানান, বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তিনি আশা করছেন, পুষ্টিগুণে ভরপর এ রঙিন ফুলকপিগুলো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো- রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। একই গ্রামের কৃষক জামিল, ছাত্তার, করিম জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুলের আগে অন্য কেউ রঙিন ফুলকপির চাষ করেনি। আমিও ফুলকপিগুলো এর আগে দেখেছি। তবে এখানে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, শফিক প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি।

বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সব পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত