চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা

তিন প্রার্থীর টাকা ফেরত

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল হুদা হেলাল, দিনাজপুর

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, আয়া ও নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগের জন্য বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তবে ভুক্তভোগীদের তোপের মুখে তিন প্রার্থীর টাকা ফেরত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পাঁচ ভুক্তভোগী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। অভিযোগের অনুলিপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দিয়েছে। অভিযোগকারীরা হলেন- ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল গ্রামের সাগরিকা রায়, কুলছুম বেগম, মেহেদী হাসান মিম, শাহাজান আলী ও চকিয়াপাড়ার শাহিন আলম।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- ২০২২ সালের ৩০ জুলাই ফুলবাড়ী উপজেলার দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, আয়া ও নৈশ্যপ্রহরীসহ চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী পদগুলোতে আবেদন করেন। আবেদনের পর সাগরিকা রায়ের কাছ থেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ১০ লাখ টাকা, কুলছুম বেগমের কাছে ৬ লাখ টাকা, মেহেদী হাসান মিমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা, শাহাজান আলীর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা, শাহিন আলমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন।

আবেদনকারীদের অ্যাডমিট কার্ড না দিয়ে গোপনে দিনাজপুর জিলা স্কুলে এসব নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ওই দিন ভুক্তভোগীরা জিলা স্কুলের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নবীউল আলম বিশ্বাস ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান তিন ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, চারটি পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। মোট ৪২ জন আবেদন করেছিল। এর মধ্যে কয়েকজনের কাছে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের জন্য টাকা নেয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে কয়েকজনের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।