ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। গত শনিবার উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সরে যাওয়া তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীই আওয়ামী লীগ নেতা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে তিন প্রার্থী জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। উপনির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এখন প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের পাঁচবারের সাবেক এমপি ও বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি, বর্তমানে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, আমরা তিন প্রার্থী ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার বলেন, উপনির্বাচনে আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উম্মুক্ত রেখেছে। আমাদের দলের তিন প্রার্থী নিজ নিজ দায়িত্বে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এ সময় আমি তাদের সাথে উপস্থিত ছিলাম। উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।