ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ট্রেতে টিয়া জাতের ধানের বীজতলা তৈরি

ট্রেতে টিয়া জাতের ধানের বীজতলা তৈরি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলায় এই প্রথম চায়না প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রের মধ্যে ধানের বীজ রোপণ করে শ্রমিক সংকট ও কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য কৃষি অফিস এ উদ্যোগ নিয়েছে। স্বয়ংক্রীয় মেশিনের মাধ্যমে ৩২ হাজার ট্রের মধ্যে হাইব্রিট টিয়া ৭০৭ জাতের ধানের বীজ রোপণ করে (৫০ একর) ১৫০ বিঘা জমিতে ফুকুরহাটি ইউনিয়নের জান্না দক্ষিণপাড়া পাইলট প্রকল্প হিসেবে কৃষকের মধ্যে হাইব্রিট ধানের চারা বিতরণ করা হবে। এদিকে কৃষি বিভাগ নতুন জাতের ধানের প্রযুক্তি উদ্ভোধাদন করায় কৃষকরা শুরুতে নতুন প্রযুক্তি ধান রোপণ করতে রাজি হয় না। তাদের মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও সভা করে বুঝানো হয়। এজন্য মাঠ পর্যায়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠেই তাদের নতুন জাতের ধান রোপণ করতে উৎসাহ দেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একটি ট্রের মধ্যে ১০০ গ্রাম ধানের বীজ ও দুই কেজি মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করা হয়। যা ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ধানের চারা রোপণ করার উপযোগী হবে। ওই চারা যান্ত্রিক স্বয়ংক্রীয় মেশিনের সাহায্যে জমিতে রোপণ করা হবে। রোপণের ১৪০ দিনের মধ্যে ধান কাঁটা যাবে। নতুন জাতের এই হাইব্রিট টিয়া ধান কাটতে কৃষকের উৎপাদন খরচ ও সময় কমে আসবে। ফলে কৃষকরা একই জমিতে ইরি বোরো, রোপা আমন ও সরিষা আবাদ করতে পারবে বলে সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান। জান্না দক্ষিণপাড়ার কৃষক আলতাফ হোসেন, মো. ফজলুর হক ও সাজাহান মিয়া বলেন, নতুন জাতের হাইব্রিজ টিয়া ধান রোপণ করতে আমাদের জমি প্রস্তুত করেছি। কম খরচে বেশি উৎপাদন হবে। কৃষকরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে এই ধান রোপণ করলে ৩৫ মণ ধানই পাওয়া যাবে। এতে খরচ হবে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। আর উৎপাদন ঠিকঠাক হলে খরচ বাদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে বলে তারা জানান। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্ধারিত সময় ও কম বয়সে এ ধানের চারা রোপণ করা হলে কৃষকরা অধিক ফলন পাবে। এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় যেসব কৃষকদের আনা হয়েছে, তাদের ফসল উৎপাদনে আর্থিক খরচ কম ও কৃষকরা অধিক মুনাফা পাবে বলে তিনি জানান। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, কৃষিতে শ্রমিক সংকট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে উৎপাদন খরচ কমানো এবং অধিক ফসল উৎপাদনে যান্ত্রিককরণ করা হচ্ছে। এরমধ্যেই জমি চাষ করে বালাইনাশক প্রয়োগ ও ধান মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ যান্ত্রিককরণ করা হয়েছে। চারা রোপণ ক্ষেত্রেও যান্ত্রিককরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান লাগাতে দেরি হয়। ফলন কম হয় ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত