চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলাজুড়ে রাস্তঘাট, বাড়িঘরের আঙিনা, জমিতে, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে সেখানে দেখা যায় শিম চাষ আর শিম চাষ। চোখ পেরানো যায় না রাস্তার দুই পাশে সবুজের সমারোহ শিম চাষে। দেখতে যেন শীতের উষ্ণতার সৌন্দর্যে ছোঁয়া লাগছে গায়ে। শুধু কৃষক নয়, ঘরের গৃহিণীরা শিম চাষ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। শিম চাষে নিয়োজিত কৃষকের মুখে এখন খুশির ঝিলিক। এ বছর দামের দিক দিয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দাম পাওয়ায় কৃষক আরও বেশি জমিতে শিম চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময়ে বাজারে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি বছর প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়কের পাশে, পাহাড়ি অঞ্চলে, বাড়িঘরের আঙিনায়, উঁচু ভূমি জমিতে শিমের চাষ করেছেন কৃষক। বিশেষ করে এ বছর সার, বীজ, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী সুলভে পাওয়ায় কৃষক বেশি জমিতে শিমের চাষ করেছে। শিমের ফলন হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় দুই-তিনগুণ বেশি। প্রথম দুই দফায় শিমের খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় দফায় চাষ করা খেত থেকে দেরিতে বাজারে আসা শিমের দামও বেড়ে যায় কৃষকদের চাহিদার অনেক বেশি। শিমচাষ এলাকা পটিয়া উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূষি, কচুয়াই, হাবিলাসদ্বীপ, ধলঘাট, খরনা, আশিয়া, কাশিয়াইশ, ভাটিখাইন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে শ্রীমতি খালসহ এলাকা গুলোর রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য শিমের চাষ হয়েছে। কেলিশহর এলাকার শিম চাষি নুরুল ইসলাম ও আবদুল মন্নান জানান, এক একরের মতো জমিতে শিমের চাষ করেছেন। এক একর থেকে তিনি এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। এক একর জমিতে তার শিমচাষ করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, বর্তমান সময় শিমচাষ কৃষকের ভাগ্যবদলের ফসল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।