ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং

হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন

হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আগনুকালি গ্রামের যুবক শরিফুল হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। শারীরিক চাহিদা মেটাতে না পারায় স্ত্রীর হাতে স্বামী শরিফুল খুন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শাহজাদপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রায় দেড় মাস আগে ওই গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে শরিফুল একই এলাকার চর বেতকান্দি গ্রামের ফখরুল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে ফারজানা খাতুনকে বিয়ে করে। এ বিয়ের পর থেকেই স্বামীর শারীরিক অক্ষমতার কারণে অশান্তি চলছিল। গত ৯ জানুয়ারি মধ্য রাতে শ্বশুরবাড়িতে যায় শরিফুল। ফারজানা ওইদিন প্রায় ভোর রাতে শরিফুলকে বিশেষ কৌশলে নদীর পাড়ে নিয়ে যায় এবং কবিরাজের বরাত দিয়ে বলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নদীর স্রোতের পানি তুলে পান করলে শারীরিক অক্ষমতা দূর হবে। একপর্যায়ে শরিফুলের পরনের লুঙ্গি ছিঁড়ে হাত ও পা বেঁধে দেয় স্ত্রী ফারজানা। সেইসাথে একটি প্লাস্টিকের বোতল হাতে নিয়ে নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ঘাড় চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ফারজানার হাতে কামড় বসিয়ে দেয় শরিফুল। এ সময় ফারজানা ক্ষিপ্ত হয়ে শরিফুলের ঘাড় ভেঙে দেন। তার মৃত্যুর পর লাশ পাশে থাকা শ্যালো নৌকার নিচে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এ হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর গত শনিবার সকালে করতোয়া নদীর পোলঘাটে তার লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে এবং পরদিন সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে তার লাশ প্রেরণ করা হয় এবং স্ত্রী শ্বাশুড়িসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) দিকনির্দেশনায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী ফারজানা এ হত্যাকাণ্ডের উল্লেখিত বর্ণনা দেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। গত সোমবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন ফারজানা। এ ব্যাপারে নিহতের মা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন। এ প্রেস ব্রিফিংয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল মজিদ, মামলার তদন্তকারী অফিসার (এসআই) গোপাল উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত