বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল
ষষ্ঠ শ্রেণিতে নিয়মবহির্ভূত ভর্তির অভিযোগ
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মো. আব্বাস আলী, নওগাঁ
নওগাঁর বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সুরেশ সিংহের বিরুদ্ধে। তিনি নীতিমালা উপেক্ষা করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন। জানা গেছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১২০ আসনে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য গত বছরের ১৬ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৬ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ডিসেম্বর সবারই লটারি করা হয় এবং ১৫১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ৮ জানুয়ারি মেধা অনুযায়ী রোল নম্বর নির্ধারণের জন্য পঞ্চম শ্রেণির সিলেবাস অনুযায়ী একটি পরীক্ষা হয়। এরপর ১২০ জনকে মেধা তালিকা অনুসারে প্রথমে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে লটারিতে উঠা অপেক্ষামান তালিকা থেকে আরো ৩১ সহ মোট ১৫১ ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো হয়। এছাড়া লটারির বাহিরে থাকা আরো ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ভর্তি করানো হবে- মর্মে টাকা নিয়ে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সুরেশ সিংহ বলেন, বিদ্যালয়টি এখনো শিক্ষক আত্তীকরণ হয়নি। এ কারণে অতিরিক্ত ভর্তি করানো হয়েছে। শিক্ষক আত্তীকরণ হয়ে গেলে তখন আর ১২০ আসনের বেশি ভর্তি করানো যাবে না। উপজেলায় ভালো আর কোন স্কুল নাই। কিছু ভালো ছাত্রছাত্রীর জন্য লটারিকে বেশি নাম উঠানো হয়েছে। এ কারণেও কিছু বেশি ভর্তি করাতে হয়েছে। তবে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করানোর অভিযোগটি সঠিক নয়। কারো হয়তো স্বার্থসিদ্ধ হচ্ছে না, এ কারণে অভিযোগ করতেই পারে।
বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ আছে তার মধ্যে ভর্তি করতে হবে। তবে প্রধান শিক্ষকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব। বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন, ১২০ আসনের বিপরীতে অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানোর নির্দেশনা নেই। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানরা যদি দুয়েকজন আসে, তাদের ভর্তি করানো যাবে। কিন্তু তিনি (প্রধান শিক্ষক) আমার অনুমতি ছাড়াই নিজের মতো অতিরিক্ত ভর্তি করিয়েছেন।