ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ চরমে

কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ চরমে

সপ্তাহজুড়ে কুড়িগ্রাম জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডায় মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চলমান শৈত্যপ্রবাহে সূর্যের দেখা না মেলায় ঘনকুয়াশার সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীতকষ্টে ভুগছে ছিন্ন ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় নিম্নগামী থাকায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বষস্করা।

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বের্ডের বিপরীতে চিকিৎসা নেয়া ৩৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনই শিশু, এদিকে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন শিশু, এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ রোগী। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্তত ১৮শ থেকে ১৫শ রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে রোগীর চাপ। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায়, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার তাপমাত্রা অবস্থান করেছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। গত ১৬ জানুয়ারি তাপমাত্রা একটু উচ্চগামী থাকলেও মঙ্গলবার সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, শীতের শুরু থেকেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে আমরা এই রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রামে শীতার্ত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরো ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত