শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকের অভিযোগ

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ইসমাইল হোসেন, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে বদলি শিক্ষক ফের একই বিদ্যালয়ে যোগদান করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছেন। উপজেলার শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দেয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলী শিক্ষার্থীদের কানে দুই কলম দিয়ে চাপ দেয়া, দুই শিক্ষার্থীর মাথা ধরে মাথায় মাথায় ডুষা দেয়া, বেত্রাঘাত করেন। এমন অভিযোগে গত ১৬ আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হারিঙ্গাচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে দেন। কিন্ত কিছু দিন পর ওই শিক্ষক পূর্বের স্কুলেই যোগদান করেন। এমন অবস্থায় ওই শিক্ষকের ভয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে। স্থানীয় আমেনা নামে এক অভিভাবক বলেন, ওই মাস্টার তো সময় মতো স্কুলেও আসে না। তার নির্যাতনের ভয়ে তামিম, তায়েবা, মামুন মিয়া, আহাদসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীরা অন্যস্কুলে ভর্তি হয়েছে। এই শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে থাকলে ছাত্রছাত্রী শূন্য কোঠায় দাঁড়াবে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলীকে অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয়। পরে তিনি আবার এই বিদ্যালয়ে আসায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে আবার ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা। সিনিয়র শিক্ষকের বদলে জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করায় আমি প্রতিবাদ করেছি। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার মৌনদ্বন্দ্ব হয়েছে। তিনি এই বিষয়টিকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে হারিঙ্গারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয় তাই পূর্বের কর্মস্থলেই যোগদান করেন ওই শিক্ষক। এই শিক্ষক নিয়ে ফের কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।