পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের নাড়িকেল বাড়িয়ার শুঁটকি জেলেপল্লি থেকে সাড়ে ৪ কেজি হরিণের মাংসসহ জেলে বেশে আটক চোরা শিকারিকে গতকাল বুধবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় শুঁটকি জেলেপল্লির একটি ঘর থেকে জেলে বেশে থাকা এই চার চোরা শিকারিকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। আটকরা হলেন- প্রতাবকাঠি গ্রামের আহসান আলী খানের ছেলে সাফায়েত খান, হরিঢালি গ্রামের জরিব গাজীর ছেলে হোসেন আলী গাজী, কড়ইখালী গ্রামের আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে রনোকুল গাজী, নোয়াকাঠি গ্রামের সোহরাব গোলদারের ছেলে খলিলুর রহমান। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন জানান, সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের জেলেপল্লি নাড়িকেল বাড়িয়ার চরে খুলনার রেজাউল শেখের লাইসেন্সধারি শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ কাজে নিয়োজিত জেলেরা গোপনে ফাঁদ পেতে একটি হরিণ শিকার করে। ওই হরিণের কিছু মাংস তারা খেয়ে ফেলে এবং কিছু মাংস হলুদ দিয়ে প্রসেসিং করে মাটির নিচে রেখে দেন- এমন খবর জানতে পেরে নাড়িকেল বাড়িয়া জেলেপল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী বনরক্ষীদের নিয়ে জেলেদের অস্থায়ী শুঁটকি মজুত করা একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হরিণের মাংস উদ্ধার করেন। এ সময় হরিণ শিকারের অপরাধে ওই চার জেলেরুপি চোরা শিকারিকে আটক করে বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।