ঢাকা ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাইস মিলের বর্জ্যে খাল ভরাট

রাইস মিলের বর্জ্যে খাল ভরাট

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের ধুনাইল, হালদিয়া, চকখিলদা ও ঝাটিবাড়িসহ চারটি গ্রামে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাইস মিলের বর্জ্যে খাল ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক ভুক্তভোগী কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। জানা যায়, চক খিলদা, ঝাটিবাড়ি ও হালদিয়া বিলের নিচু জমিগুলোর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি দুই বছর আগে স্থাপিত ধুনাইল স্বাধীন বাংলা অটো রাইস মিলের বর্জ্য ও ছাই ফেলার কারণে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরেও উল্লেখিত নিচু জমিগুলো থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। স্থানীয়রা রাইস মিল মালিকদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করায় এলাকাবাসীর প্রতি মিল মালিকরা ক্ষুব্ধ।

ধুনাইল গ্রামের শফিকুল ইসলাম, চানু শেখ, আব্দুল আজিজ, ইমান আলী, সেকাম আলী, আব্দুল কুদ্দুছ ও আব্দুল কাদেরসহ আরো অনেকে জানান, রাইস মিল মালিকরা প্রভাবশালী। তারা প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলা অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম খান জানান, তারা তাদের ক্রয়কৃত ভূমিতে রাইস মিল স্থাপন করেছেন। খালের একটি অংশও তাদের ক্রয়কৃত। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সব প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছেন। কালিহাতী উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, কৃষি জমিতে বোরো চাষ বিঘ্নিত হলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। উৎপাদন বাড়াতে এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন জানান, বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত