অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত ইকোপার্ক

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

দক্ষিণ চট্টগ্রামের আলোকিত পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কে শীতের পরিযায়ী (অতিথি) পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে শীতের আমেজকে উপভোগ করতে পর্যটকও আসতে শুরু হয়েছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ইকোপার্কের সবুজ বনানী ও সুদূর সাইবেরিয়া থেকে পরিযায়ী পাখির আগমন, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, এলোমেলো অসংখ্য লেক, আঁকাবাকা রাস্তা, ঝুলন্ত ব্রিজ, ৩টি পর্যটন টাওয়ার হতে সূর্যাস্তের দৃশ্য পর্যটকদের নজর কাড়ে।

২০০৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কের যাত্রা কার্যক্রম শুরু হলেও ২০০৮ সালে প্রলয়ংকরী পাহাড়ি ঢলের পানি তোড়ে ইকোপার্কের বামের ছড়ার বাঁধ ভেঙে বেশ কিছু স্থাপনা ও হাইড্রোইলেক্ট্রিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি তছনছ হয়ে যায়। এ সময় পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পায়। তবে ইকোপার্কের ভাঙা বাঁধ সংস্কারের জন্য বাঁশখালী এলজিইডি’র মাধ্যমে যথাযথ বরাদ্দ প্রদান করা হলে ওই বাঁধ নির্মাণ কাজ বর্তমানে সম্পন্ন করা হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ করায় বামের ছড়া লেকে পানি জমায় এবার পূর্বের মতো শীতের পরিযায়ী আগমন শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে বিগত দিনে এ বাঁধের পানিতে যে বোরো চাষ হতো এবার তা পুরোদামে শুরু হচ্ছে। বর্তমানে সেখানে শান্ত জলের বুকে কচুরিপানার সবুজ গালিচার মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চারপাশ।

এদিকে বাঁশখালী ইকোপার্কে আসার একমাত্র সড়ক শীলকুপ মনছুরিয়া বাজার থেকে ইকোপার্ক পর্যন্ত ২ থেকে ৩ কিলোমিটার সড়কটি অত্যন্ত সরু। তাই পর্যটন স্পটে একমাত্র আগমনের এই সড়কটি আরও প্রশস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইকোপার্কে আসা ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। দীর্ঘ সময় এ সড়কটি সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থান ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে বামের ছড়া ও ডানের ছড়া দুটি লেকে পানি থাকার সুবাদে বোরো চাষের পাশাপাশি পূর্বের মতো শীতের পাখির আগমন হবে এ ব্যাপারে আশাবাদি বনবিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

বাঁশখালী ইকোপার্কে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি বিনোদন প্রেমীদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দেয়া জন্য। প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসছে আমরা চেষ্টা করছি, তাদের যথাযথভাবে নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা দিতে। প্রকৃতি সমৃদ্ধ বাঁশখালী ইকোপার্ক এলাকা স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না এর বিশালতা। বর্তমানে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণে মুখরিত হয়ে পড়েছে পার্ক এলাকা। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। পার্কে প্রবেশের সড়কটি সরু হওয়ায় বড় ধরনের গাড়ির আসা-যাওয়ায় সীমাহীন বেগ পেতে হয়। তাছাড়া অবকাঠামো গত উন্নয়নের অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে আলোকিত হবে পার্কটি।