ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি

দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি

দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে পাবনার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন চলাকালে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হক, আসাব উদ্দিন, আকমল হোসেন, শবনম মোস্তারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের নানা অনিয়মণ্ডদুর্নীতি এরই মধ্যেই গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনও হয় না। তারা আরও বলেন, বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন দুটি দোকান বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক, যা প্রমাণিত। তার এসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় শিক্ষকদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সেই হয়রানির অংশ হিসেবে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, যা সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক।

এসময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে তারা বলেন, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হকের বিরুদ্ধে দেয়া অবৈধ কারণ দর্শানোর নোটিশ বাতিল করতে হবে। তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার রেজুলেশনসহ নিয়মিত ভাতা প্রদানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টিউশন ফি এর হিসাব দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের নিয়মিত ক্লাস হয়? না। আশপাশের স্কুলে বছরের শুরু থেকেই ক্লাস শুরু হলেও আমাদের এখানে হয়নি। আমাদের কথা শিক্ষকরা কর্ণপাত করেন না। আমরা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগগুলো সত্য নয়। তার বিরুদ্ধে এই মানববন্ধন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক ও তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা। সমস্যা থাকলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে শিক্ষকদের জোর করে এবং ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এভাবে মানববন্ধন করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সরকারবিরোধী। তিনি বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত