খাদ্যগুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ও চালসংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার ২ মাস অতিবাহিত হলেও এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি। তবে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭২৩ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরে উপজেলার সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে নির্ধারিত বাজার দরের চেয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ ও খোলা বাজারে ধান এবং চালের বাজার দর বেশি হওয়ায় কৃষক ও মিল মালিকরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান ও চাল সরবরাহ করছেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুটি খাদ্যগুদামে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি এবং চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭২৩ মেট্রিক টন। অটোমিলসহ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মাত্র ৮০টি মিল। বাকি মিলগুলো চুক্তিবদ্ধ হয়নি।

নিজপাড়া গ্রামের কৃষক তারা মিয়া জানান, তিনি প্রতি বছর সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করে আসছিলেন। চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের বাজার দর নির্ধারণ করেছে ২৮ টাকা। কিন্তু বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে ৩০ হতে ৩২ টাকা দরে। উৎপাদন খরচের চেয়ে সরকারি বাজার দর কম হওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জগদল গ্রামের ধান ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম জানান, সরকারি বাজার দরের চেয়ে খোলা বাজারের প্রতি কেজি ধান ২ হতে ৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই চলতি মৌসুমে মিলে ধান সরবরাহ করছেন না ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা চালকল মিল মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান পান্না বলেন, বর্তমান বাজারে চালের কেজি ৫৫ হতে ৬০ টাকা। অথচ সরকারিভাবে ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ টাকা। সে কারণে চাল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, কৃষকের উৎপাদন খরচ ও খোলা বাজারের চেয়ে সরকারিভাবে নির্ধারণকৃত ধান ও চালের বাজার দর কম হওয়ায় ধান ও চাল সংগ্রহ হচ্ছে না। গত বছরের ১৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হলেও আজ পর্যন্ত এক কেজি ধান সংগ্রহ হয়নি। চাল সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৭২৩ মেট্রিক টন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।