হরেক রকম পিঠা সাজিয়ে উৎসব

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাগর আহম্মেদ, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

‘হরেক রকম পিঠা সাঝে পিঠা উৎসব মাতে, ভিন্ন ভিন্ন স্বাদে পাওয়া যায় হরেক রকম হাতে’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পিঠার পাশাপাশি জারি গান ও ম্যাজিক শো’র মাধ্যমে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থী সূত্রে জানা গেছে, এক সময় শীত এলেই শুরু হতো আবহমান গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ঘরে ঘরে মেতে উঠতো পিঠাপুলিসহ পিঠাপুলির উৎসব। সেই উৎসব এখন আর তেমন সচারাচর চোখে পড়ে না। দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার সেই সংস্কৃতি। গ্রামবাংলার সেই সংস্কৃতি ঐতিহ্য ধরে রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার লতিফপুর এলাকায় আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ জলিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা, ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা। ওই প্রতিষ্ঠানের মাঠে সকাল থেকেই ১৩টি স্টলে ভিড় জমায় ক্রেতাসহ দর্শনার্থীরা। চিতই, ভাপা, পুলি, পার্টি সাপটা, মুগপাকন, সন্দ্বীপের সেলফি, বিবিখানা, মিষ্টি ম্যারা, বকুল, স্বামী কাবাবসহ প্রায় শতাধিক ধরণের বাহারি পিঠার মধুর ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে উঠে স্টলগুলো। এছাড়াও গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ম্যাজিক, জারি ও বাউ গানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ।

ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আলহাজ জলিল উদ্দিন বলেন, পিঠা উৎসব গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য এখন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই অনেক পিঠার নামও বলতে পারে না। তাই গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ১৩টি স্টলে প্রায় শতাধিক ধরনের পিঠার পসড়া সাজিয়ে বসেছে। এ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় লোকজন এ উৎসবে ভিড় করে।