নওগাঁর মহাবেদপুর উপজেলার মাতাজীহাটে অনুমোদনহীন নিউ ডে নাইট বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারী নামের কারখানায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুমোদনবিহীন এ কারখানাটির মালিক স্থানীয় নান্দাস গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান। কারখানাটির অনুমোদন না থাকলে অবৈধ এ কারখানাটির খবর রাখে না কোনো কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, টিনের ছাপড়া একটি ঘর। দেখে পরিত্যক্ত মনে হলেও ধোঁয়া উড়তে দেখে মনে হয় ভেতরে কোনো কিছু তৈরি হচ্ছে। অন্ধকার ঘরে স্যাঁতসেঁতে ও নোংরা মেঝের ওপরে খোলা পাত্রে রাখা হয়েছে কেক, রুটি ও বিস্কুট। মেঝের উপরে আড়ার সঙ্গে ঝুলছে মাকড়সার জাল। মেঝের এক পাশে তৈরি করা হয় খাবার আরেক পাশে রাখা হয় কারখানার চুলার ময়লা। একটি টিনের বালটিতে রাখা হয়েছে তেল। সেই একই তেল দিয়ে অনেক রকম খাবার তৈরি করার কারণে তেল ঘোলাটে হয়ে গেছে। কড়াইয়ে সামন্য তেল রয়েছে সেখানে সিগারেট খেয়ে অবশিষ্ট অংশ ফেলে রাখা হয়েছে। কারখানার বাহিরে নেই কোনো প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড। প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী শরিফ হোসেন বলেন, একঘরে এভাবে কারখানা চালানো যায় কি না তা জানি না। আমরা কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। একই তেল দিয়ে ৩-৪ রকমের খাবার তৈরি করা হয়। তেলের কড়াইয়ে সিগারেট কে ফেলেছে জানি না। মেয়াদ যে কেন দেয় না সেটা মালিক বলতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানটির মালিকের বাবা হাশেম আলী বলেন, নিয়ম তো অনেক কিছুই আছে সবাই সব নিয়ম মেনে চলে না। একঘরে ৫-৬ বছর ধরে বেকারি পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারব না। ফোনে কথা হলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাফিজুর রহমান বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমতির আবেদন করা হয়েছে এখনো অনুমতি পাইনি। আর গত বছর (২০২১) স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা এসে কর্মচারীদের ফিটনেস পরীক্ষা করে অনুমতি দিয়েছিল। তবে চলতি বছর ফিটনেস পরীক্ষা করেনি। কীভাবে বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়া এবং খাবারগুলোর গায়ে মেয়াদ উল্লেখছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটি ঘরে পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাকে সব বলতে পারব না।