সব বই না পাওয়ায় নোটগাইডের খোঁজে বাজারে অভিভাবকরা
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। তবে এবার আগের বছরগুলোর ন্যায় এ বছরের প্রথমদিন দেশব্যাপী উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনা অনেক কম হলেও চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে অনেক বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। যার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে বই না পাওয়া বিষয়গুলোর পাঠদান। এতে কিন্তু থেমে নেই অভিভাবকরা। প্রতিদিনই অভিভাবকরা কুমিল্লার তিতাসের বিভিন্ন হাট-বাজারের নিষিদ্ধ নোটগাইড বা সহায়ক বইয়ের জন্য লাইব্রেরিতে ভিড় করছে। যদিও ২০২১ সালে শিক্ষা আইনের চূড়ান্ত খসড়ায় নোটগাইড প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বাতাকান্দি বাজার, মাছিমপুর বাজার, আসমানিয়া বাজার, কড়িকান্দি বাজার, কলাকান্দি বাজার, জগতপুর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি লাইব্রেরি রয়েছে। এসব দোকানগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ গাইডনোট বিক্রি করা হয়। জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পেয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু জানান, আমরা বছরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বই বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩টি করে, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৬টি করে বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন জানান, প্রথম দিকে একটু পাঠদানে সমস্যা হলেও অধিকাংশ বই শিক্ষার্থীরা পেয়েছে এবং পুরোদমে শ্রেণির পাঠদান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। যে কয়টি বই বাকি আছে আশা করছি এ মাসের মধ্যেই পেয়ে যাবো।
কড়িকান্দি বাজারে গাইডবই নিতে আসা বন্দরামপুর গ্রামের অভিভাবক ফারহানা আক্তার জানান, মেয়ে নতুন বই পেয়েছে। স্কুল থেকে বলেছে গাইড বই কিনে নিতে, তাই গাইড কিনতে বাজারে এসেছি।