ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরগঞ্জে প্রথমবারের মতো হলুদ ফুলকপির চাষ

ঈশ্বরগঞ্জে প্রথমবারের মতো হলুদ ফুলকপির চাষ

ফুলকপির রং হলুদ। প্রথমে দেখলে মনে হবে, কেউ সাদা ফুলকপির ওপর রং করেছে। আগে বাংলাদেশে এ ধরনের রঙিন ফুলকপির চাষ হতো না। কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে এই ধরনের ফুলকপির চাষ। তবে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এ বছর প্রথমবারের মতো এই ধরনের ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলেছে, হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি তার রং পায় ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ থেকে। অ্যান্থোসায়ানিন রক্ত জমাট বাঁধা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এ ধরনের ফুলকপির সঙ্গে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তারা। নতুন এই ফুলকপি চাষে ভালো দাম পাবে কৃষক। কেননা রঙিন ফুলকপি যখন বাজারে আসবে তখন অন্য কপিগুলো বাজারে থাকবে না। প্রতিটি রঙিন ফুলকপিতে কৃষক স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি পাবেন। মাটির উপযোগী কি না, পরীক্ষামূলকভাবে তা দেখতে ঈশ্বরগঞ্জে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক প্রথম এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে রঙিন ফুলকপি, গম ও পেঁয়াজের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন-কৃষি, প্রাণিসম্পদ, পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সায়েদুজ্জামান, পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান ফেরদৌসী আখতার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুষমা সুলতানা, সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. রাহাত মান্নান, ময়মনসিংহ খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মতিউজ্জামান, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ফুলকপি চাষি মোজাম্মেল হক জানান, এতদিন আমি সাদা ফুলকপি চাষ করে এসেছি। রঙিন ফুলকপি দেখিনি। কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ও উপসহকারী কৃষি অফিসার আলী আখছার খান স্যারের তত্ত্বাবধানে আমি অল্প কিছু জায়গায় এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত